(বাঁ দিকে) মহুয়া মৈত্র, ওম বিড়লা (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
এথিক্স কমিটির গোপন রিপোর্টের খসড়া ফাঁস হল কী ভাবে? তা-ও আবার একটি নির্দিষ্ট সংবাদমাধ্যমের হাতে গেল কী করে? এমনই সব প্রশ্ন তুলে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি লিখলেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। বৃহস্পতিবার স্পিকারকে লেখা চিঠিতে মহুয়া এমন ঘটনাকে বিশেষ অধিকার লঙ্ঘনের সামিল বলে দাবি করেছেন।
বুধবার একটি সংবাদমাধ্যম দাবি করে, তৃণমূল সাংসদ মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজ করা হোক, এমনটাই সুপারিশ করেছে লোকসভার এথিক্স কমিটি। ওই সংবাদমাধ্যমটি জানায়, ৫০০ পাতার ওই রিপোর্টে মহুয়ার বিরুদ্ধে আইনি তদন্তের পরামর্শও দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারকে। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, মহুয়ার কাজ ‘অত্যন্ত আপত্তিকর, অনৈতিক এবং অপরাধমূলক’। তাঁর লোকসভার সদস্যপদ খারিজ করা উচিত বলে মনে করে কমিটি। লোকসভার শীতকালীন অধিবেশনে এথিক্স কমিটির এই খসড়া রিপোর্ট স্পিকারের কাছে জমা দেওয়া হবে। তার পর আলোচনার ভিত্তিতে নেওয়া হবে সিদ্ধান্ত। কিন্তু স্পিকারের কাছে সেই রিপোর্ট জমা পড়ার আগেই মহুয়া চিঠি দিয়ে স্পিকারের কাছেই অভিযোগ জানালেন।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টে নাগাদ কমিটিতে হাজিরা দেওয়ার কথা মহুয়ার। তার আগেই স্পিকারের কাছে চিঠি লিখে এথিক্স কমিটির ওপরই চাপ তৈরির চেষ্টা করলেন তৃণমূল সাংসদ, এমনটাই মত জাতীয় রাজনীতির কারবারিদের। এ ক্ষেত্রে মোট ছ’টি অভিযোগের কথা উল্লেখ করে মহুয়া স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। সঙ্গে বুধবার কী ভাবে ওই সংবাদমাধ্যমের হাতে এথিক্স কমিটির রিপোর্ট গেল, তা নিয়েও স্পিকারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy