Advertisement
E-Paper

নাগরিকত্ব বিল নিয়ে সুর চড়াল তৃণমূলও

বিরোধীদের সম্মিলিত আপত্তিতে নাগরিকত্ব (স‌ংশোধনী) বিলটির ভবিষ্যৎ নিয়েই প্রশ্ন উঠে গেল। ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলোতে বসবাসকারী ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের এ দেশে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় দেওয়ার প্রশ্নে বিলে একটি সংশোধনী আনা হয়েছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৩:৪১

বিরোধীদের সম্মিলিত আপত্তিতে নাগরিকত্ব (স‌ংশোধনী) বিলটির ভবিষ্যৎ নিয়েই প্রশ্ন উঠে গেল। ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলোতে বসবাসকারী ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের এ দেশে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় দেওয়ার প্রশ্নে বিলে একটি সংশোধনী আনা হয়েছিল। আজ সিলেক্ট কমিটির বৈঠকে সেই সংশোধনী নিয়েই প্রবল আপত্তি জানিয়েছে তৃণমূল-সহ বেশির ভাগ বিরোধী দল।

বিজেপির প্রতিশ্রুতি ছিল, দ্রুত নাগরিকত্ব বিলটি সংসদে নিয়ে আসবে সরকার। সেই মতো গত অগস্ট মাসে বিলটি লোকসভায় পেশ করেন রাজনাথ সিংহ। গত অগস্ট মাসে লোকসভায় বিলটি পেশ করেন রাজনাথ সিংহ। বিলটির অন্যতম সংশোধনীতে বলা হয়েছে, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের ধর্মীয় সংখ্যালঘু মানুষ— অর্থাৎ হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও পার্সিরা— যদি ভারতে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় চান, তা হলে তাঁদের শরণার্থীর তকমা দেওয়া হবে, অনুপ্রবেশকারী বলা হবে না। তা ছাড়া, বারো বছরের পরিবর্তে সাত বছর এ দেশে থাকলেই তাঁদের নাগরিকত্ব মঞ্জুর করবে দিল্লি।

ওই বিলের সঙ্গে মূলত বাংলাদেশ থেকে আসা অসম, ত্রিপুরা ও পশ্চিমবঙ্গের লক্ষ লক্ষ মানুষের ভাগ্য জুড়ে রয়েছে। তাই শুধু সংখ্যালঘু মানুষকেই কেন নাগরিকত্ব দেওয়া হবে, এই প্রশ্ন তুলে এ দিন বৈঠকে সরব হয়েছিলেন তৃণমূলের প্রতিনিধি ডেরেক ও’ব্রায়েন ও সৌগত রায়। ধর্মের ভিত্তিতেই কেন শরণার্থী বাছা হবে, তা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। তৃণমূলের এই যুক্তিকে সমর্থন জানায় বিজেডি, এআইডিএমকে-র মতো অন্যান্য বিরোধী দল। প্রশ্ন ওঠে, ওই সব দেশ থেকে যদি মুসলিমরা ভারতে আসতে চান, সে ক্ষেত্রে তাঁদের শরণার্থী, না অনুপ্রবেশকারী, কী হিসেবে দেখা হবে? সরকারের পক্ষ থেকে পাল্টা যুক্তিতে বলা হয়, প্রতিবেশী দেশগুলোয় ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা অনেক সময় নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। তাঁদের কথা ভেবেই ওই বিলে সংশোধনী আনা হয়েছে। শ্রীলঙ্কার তামিল হিন্দুদের বিষয়টি কেন সংশোধনী বিলে রাখা হয়নি, আজকের বৈঠকে সেই প্রশ্নও উঠেছে।

বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় বিলটিতে সিলেক্ট কমিটির কাছে পাঠানোর জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন বিরোধী সাংসদেরা। সেই মতো আজ সিলেক্ট কমিটির বৈঠক হয়। আগামী ২ অক্টোবর ফের বৈঠক। কিন্তু নবরাত্রি ও দুর্গাপুজোর জন্য বৈঠক পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানান বিরোধী সাংসদেরা। শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই সিলেক্ট কমিটির সংসদের কাছে এই বিলটি নিয়ে রিপোর্ট পেশ করার কথা। কিন্তু যে ভাবে বিলটি নিয়ে বিরোধীরা সুর চড়াতে শুরু করেছেন, তাতে শীতকালীন অধিবেশনের মধ্যে বিলটি নিয়ে সিলেক্ট কমিটিতে আলোচনা শেষ হবে কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।

TMC citizenship bill
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy