পূর্ণ সাংমার উত্তরসূরি বেছে নিতে আগামী কাল উপ-নির্বাচন হবে তুরায়।
এনপিপি-র টিকিটে বাবার আসন ফের দখল করতে ভোট-ময়দানে নামছেন কনরাড কে সাংমা। অন্য দিকে, গারো পাহাড়ে পূর্ণ পরিবারের প্রতিদ্বন্দ্বী মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা পূর্ণর আসন ছিনিয়ে নিয়ে স্ত্রী তথা মহেন্দ্রগঞ্জের বিধায়ক ডিকাঞ্চি ডি শিরাকে লড়াইয়ে নামিয়েছেন। তাঁর পাশে কার্যত রয়েছে গোটা সরকার। কনরাডের ভরসা গারো পাহাড়ের তুরায় ১৯৭৭ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত টানা চলতে থাকা তাঁর পরিবারের রাজত্ব। পূর্ণও ছিলেন তুরার সাংসদ। ২০০৮ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত কনরাডের বোন আগাথা ছিলেন স্থানীয় সাংসদ।
গারো পাহাড়ে পূর্ণ সাংমা কার্যত কিংবদন্তী। বাবার সেই ছবিই অক্ষুণ্ণ রাখতে চান বিধায়ক কনরাড। তুরা লোকসভা আসনের অধীনে ২৪টি বিধানসভা কেন্দ্র পড়ে। ভোটারের সংখ্যা ৬ লক্ষ ৩০ হাজার। ৯৪৫টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৪১০টি অতি সংবেদনশীল। এই প্রথম জিএনএলএ জঙ্গি সংগঠনের একটি বড় অংশকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার শরিক হয়ে ভোটদান করতে দেখা যাবে।
এ দিকে, প্রচারপর্বে দু’বার বিতর্কে জড়িয়েছেন ডিকাঞ্চি। প্রথম বার দাদেংগ্রের জনসভায় তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি-এনপিপি জোট চালায় বিজেপি। তারা কখনওই মুসলিম ও খ্রিস্টান সংখ্যালঘুদের ভাল করবে না।’’ তার জেরে নির্বাচন কমিশন তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে। গত কাল বিকেল চারটের মধ্যে ভোট প্রচার শেষ করার কথা থাকলেও, ডিকাঞ্চি দক্ষিণ পশ্চিম গারো হিলের কলাইচরে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত প্রচার চালান। এর পরই আমপাতির জেলাশাসক তাঁকে নোটিস পাঠান। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসার ফ্রেডরিক খারকোনগরও ডিকাঞ্চিকে কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠিয়েছেন।
অন্য দিকে, অরুণাচলেও আগামী কাল উপ-নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। দুই বিধায়ক গ্যাব্রিয়েল ডি ওয়াংসু ও ওয়াংলাম সাওইয়ন নাবাম টুকির আমলে পদত্যাগ করায় কানুবাড়ি ও খোনসা আসন খালি হয়েছিল। কিন্তু দুই বিধায়কই প্রথমে হাইকোর্ট পরে সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগ করে দাবি করেন, কারচুপি করে তাঁদের পদত্যাগপত্র জমা দেওয়া হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট সম্প্রতি ওই মামলায় স্থগিতাদেশ দেওয়ার আপাতত সেখানে উপ নির্বাচন করা হবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy