Advertisement
০২ মে ২০২৪
Uttarkashi Tunnel Rescue Operation

অবশেষে! সুড়ঙ্গে ১৭ দিন আটকে থাকা ৪১ জনকেই উদ্ধার, চূড়ান্ত অভিযান রাত ৭:৪৯ থেকে ৮:৩৮

১৭ দিন সুড়ঙ্গে আটকে থাকার পর অবশেষে মুক্তি পেলেন ৪১ জন শ্রমিক। উত্তরকাশীর সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গে ধস নামায় তাঁরা ভিতরে আটকে পড়েছিলেন। মঙ্গলবার অবশেষে তাঁদের নিরাপদে সেখান থেকে বার করে আনা হয়েছে।

Trapped workers in Uttarkashi tunnel rescued after days

উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গ থেকে একে একে বেরিয়ে আসছেন শ্রমিকেরা। ছবি: পিটিআই।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
উত্তরকাশী শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২৩ ১৯:৫২
Share: Save:

অবশেষে মুক্তি! উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গ থেকে বার করা হল আটকে পড়া ৪১ জন শ্রমিককে। রাত ৮টা ৩৮ মিনিটের মধ্যে সম্পন্ন হল কাজ। মঙ্গলবার, ১৭ দিন পর বদ্ধ সুড়ঙ্গ থেকে মুক্তি পেলেন তাঁরা। স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন তাঁদের পরিজনেরা। ঘটনাস্থলে উপস্থিত উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামী। সুড়ঙ্গ থেকে প্রথমে বেরিয়ে আসেন ঝাড়খণ্ডের বিজয় হোরো। মনে করা হচ্ছে, এক ঘণ্টার মধ্যেই সুড়ঙ্গ থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন ৪১ জন শ্রমিক।

গত ১২ নভেম্বর ভোরে উত্তরকাশীর সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গে ধস নামে। ভিতরে আটকে পড়েন ৪১ জন শ্রমিক। এত দিন ধরে তাঁদের বার করার জন্য নানা ভাবে চেষ্টা করা হচ্ছিল। কিন্তু ধ্বংসস্তূপ খুঁড়ে শ্রমিকদের কাছে পৌঁছনো সম্ভব হচ্ছিল না কিছুতেই। খোঁড়ার সময়ে গত শুক্রবার বাধা আসে। ধ্বংসস্তূপের ভিতরের লোহার কাঠামোয় ধাক্কা খেয়ে ভেঙে যায় আমেরিকান খননযন্ত্র। উদ্ধারকাজ থমকে যায়। আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারের বিষয়ে অনবরত খোঁজ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। তিনি মুখ্যমন্ত্রী ধামীকে একাধিক বার ফোন করেছেন।

উদ্ধার করার আগে পর্যন্ত সুড়ঙ্গের শ্রমিকদের সঙ্গে প্রশাসনের তরফে অনবরত যোগাযোগ রাখা হয়েছিল। পাইপের মাধ্যমে তাঁদের সঙ্গে কথা চলছিল। পৌঁছে দেওয়া হচ্ছিল খাবার, জল এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র।

সুড়ঙ্গে থাকাকালীন উত্তরকাশীর শ্রমিকদের প্রথম ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসে গত মঙ্গলবার। পাইপের মাধ্যমে ক্যামেরা পাঠান উদ্ধারকারীরা। সেখানেই দেখা যায় সুড়ঙ্গের ভিতর কী ভাবে, কী অবস্থায় তাঁরা রয়েছেন।

খননযন্ত্র ভেঙে যাওয়ায় দু’ভাবে খোঁড়াখুঁড়ির কাজ নতুন করে শুরু হয়েছিল। খননযন্ত্রের সব টুকরোগুলি সুড়ঙ্গ থেকে বার করে আনার পর খনি শ্রমিকেরা সেখানে ঢুকে যন্ত্র ছাড়াই খোঁড়া শুরু করেন। ১০-১২ মিটার পথ সে ভাবেই খুঁড়ে ফেলার পরিকল্পনা ছিল। এই প্রক্রিয়াকে বলে ‘ইঁদুর-গর্ত’ প্রক্রিয়া। ইঁদুরের কায়দায় গর্ত খুঁড়ে সুড়ঙ্গ থেকে শ্রমিকদের বার করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।

এ ছাড়া, সুড়ঙ্গের উপর দিক থেকে উল্লম্ব ভাবে খোঁড়ার কাজও শুরু হয়েছিল। ৮৬ মিটারের মধ্যে মঙ্গলবার সকালের মধ্যেই খোঁড়া হয়ে গিয়েছিল ৪২ মিটার।

পর্যাপ্ত অ্যাম্বুল্যান্স, ওষুধপত্র আগে থেকেই শ্রমিকদের জন্য ঘটনাস্থলে মজুত করা হয়েছিল। প্রস্তুত রয়েছে অস্থায়ী হাসপাতালও। প্রয়োজন অনুযায়ী তা ব্যবহার করা হবে। দরকার হলে অ্যাম্বুল্যান্সে করে তাঁদের হৃষীকেশ এমসে নিয়ে যাওয়া হতে পারে। ৪১ জনের অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE