হাসপাতাল থেকে সদ্যোজাতর দেহ নিয়ে স্কুটিতে চড়ে বাড়ির পথে রওনা দেন আদিবাসী দম্পতি। ছবি: সংগৃহীত।
সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সদ্যোজাতর মৃত্যুর পর তার দেহ বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুল্যান্স চেয়েও পাননি। উল্টে মৃত সন্তানের দেহ স্কুটিতে চাপিয়ে হাসপাতাল থেকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার দূরে গ্রামের বাড়ির দিকে রওনা দিতে হয়েছে। ১০০ কিলোমিটারের বেশি যাওয়ার পর অন্য একটি সরকারি হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা পান তাঁরা। শুক্রবার অন্ধ্রপ্রদেশের একটি সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ করলেন এক আদিবাসী দম্পতি। যদিও ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পাল্টা দাবি, অ্যাম্বুল্যান্স আসার মিনিট পনেরো আগেই হাসপাতাল থেকে রওনা দেন মৃত শিশুটির মা-বাবা। এই ঘটনা নিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারকে বিঁধেছে বিরোধী দল।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ২ ফেব্রুয়ারি অল্লুরি সীতারামারাজু জেলার একটি সরকারি হাসপাতালে জন্ম হয় শিশুটির। তবে শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকায় তাকে বিশাখাপত্তনমের অন্য সরকারি হাসপাতালে রেফার করা হয়েছিল। সেখানেই ভেন্টিলেশনে ছিল সে। বৃহস্পতিবার রাত ৮টা নাগাদ চোদ্দো দিনের শিশুটি মারা যায়। তার মা-বাবার অভিযোগ, গ্রামের বাড়ি ১২০ কিলোমিটার দূরে হওয়ায় অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা দিতে রাজি হননি ওই হাসপাতালের কর্মীরা। এর পর নিজেরাই মৃত সন্তানের দেহ স্কুটিতে চাপিয়ে বাড়ির পথে রওনা দেন। ১০০ কিলোমিটারের বেশি যাওয়ার পর জেলা হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুল্যান্স পাঠানো হয় তাঁদের কাছে।
শুক্রবার এই অভিযোগের জবাবে একটি বিবৃতিতে বিশাখাপত্তনমের ওই হাসপাতালের সুপার পি অশোক কুমারের দাবি, ‘‘হাসপাতালের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা মেলেনি, এমন নয়। আমাদের হাসপাতালে অ্যাম্বুল্যান্স না থাকলে বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্সের বন্দোবস্ত করা হয়। তার ভাড়াও মেটাই আমরা।’’ ওই বিবৃতিতে আরও দাবি, বৃহস্পতিবার রাত ৭টা ৫০ মিনিটে শিশুটির মৃত্যুর পর রাত সওয়া ৯টা নাগাদ অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করা হয়। যদিও তার আগেই রাত ৯টা নাগাদ স্কুটিতে করে শিশুটির দেহ নিয়ে যান ওই দম্পতি। অপেক্ষা করার জন্য অনুরোধ করা হলেও তাঁরা শোনেননি।
গোটা ঘটনায় তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যদিও অন্ধ্রপ্রদেশের ক্ষমতাসীন ওয়াইএসআই কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন জনসেনা পার্টির প্রধান পবন কল্যাণ। একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে তিনি বলেন, ‘‘স্বাস্থ্যখাতে ১৪ হাজার কোটির বরাদ্দ করাই যথেষ্ট নয়। আমজনতাকে স্বাস্থ্যপরিষেবা দেওয়াও জরুরি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy