ফাইল চিত্র।
ত্রিপুরায় পুর ও নগর সংস্থাগুলির নির্বাচনের ভোট গোনা হবে রবিবার। বিজেপিকে সুবিধা করে দিতে শেষ মুহূর্তে নিয়ম বদলের অভিযোগ তুললেও কাল ‘মাঠে থাকবে’ তৃণমূল কংগ্রেস। সিপিএম বয়কট করবে গণনা।
রাজ্য নির্বাচন কমিশন দু’দিন আগে জানিয়েছিল, আগরতলা পুর নিগমের ৫১টি আসনের জন্যে ৩৬ জন কাউন্টিং এজেন্ট ঢুকবেন গণনা কেন্দ্রে। আজ বিকেলে জানা যায়, ৫৪৫ জনকে কাউন্টিং এজেন্টের পরিচয়পত্র দিয়ে দিয়েছে তারা। তৃণমূল সাংসদ সুস্মিতা দেবের অভিযোগ, বিজেপির প্রতি পক্ষপাত দেখাতে রিটার্নিং অফিসার নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছেন। এই সঙ্গে সুস্মিতার ঘোষণা, “আমরা ভোটের দিন প্রতিরোধ করেছি। আগামিকাল গণনার সময়েও মাঠে থাকব। অনেকগুলি ওয়ার্ডে তৃণমূলের জেতার সম্ভাবনা রয়েছে।”
সিপিএমের ভারপ্রাপ্ত রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী এ দিকে ঘোষণা করেছেন, আগরতলা পুর নিগম এবং বিলোনিয়া, ধর্মনগর, খোয়াই আর মেলাঘর পুর পরিষদের ভোট গণনা তারা বয়কট করবেন। গণ হারে রিগিং ও ছাপ্পা ভোট পড়ার অভিযোগ এনে ওই পাঁচ সংস্থায় পুনরায় ভোট নেওয়ার দাবি জানিয়েছিল সিপিএম। কমিশন মানেনি। জিতেন্দ্রর কথায়, “এই নির্বাচনে নতুন মাত্রায় সন্ত্রাস দেখেছে রাজ্যবাসী৷ গণনাতেও তার ব্যতিক্রম হবে বলে মনে হচ্ছে না৷ নির্বাচন কমিশন বিজেপির এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে৷ সিপিএম তাই গণনা বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷”
শনিবার রাতে সাংবাদিক বৈঠকে সুস্মিতা দাবি করেন, “বিজেপি আসলে তৃণমূলকে হারাতে চাইছে এবং সিপিএমকে দু’নম্বরে দেখাতে চাইছে। রাজ্যের পুর ও নগর সংস্থার পুনর্নির্বাচন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলাম। আগামী শুনানিতেও সেই আবেদন জানাব।’’ ২৫ নভেম্বর শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। জবাবে বিপ্লব দেবকে ‘ধৃতরাষ্ট্র’ আখ্যা দিয়ে সুস্মিতা বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী ত্রিপুরায় এক কালো অধ্যায় সৃষ্টি করেছেন।” ত্রিপুরার নির্বাচনী সন্ত্রাসের জন্য রাজ্যসভায় বিপ্লব দেবকে সরকারের নেতৃত্ব থেকে সরানোর দাবি তুলবেন সুস্মিতা।
রাজ্য তৃণমূলের আহ্বায়ক সুবল ভৌমিক বলেন, নির্বাচনে রিগিং করার পরেও বিজেপি জয় সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারছে না। তাই কাল গণনায় হাঙ্গামা করার জন্য বিজেপি এত জনকে নিয়ে যাচ্ছে। গণনা কেন্দ্রগুলিতে বহিরাগতদের আক্রমণ প্রতিরোধ করার ডাক দিয়েছেন ত্রিপুরা যুব তৃণমূলের আহ্বায়ক বাপ্টু চক্রবর্তী।
আগরতলা পুর নিগমের জন্য উমাকান্ত স্কুলে ৩টি গণনা কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। শনিবার সকালে পুলিশ-প্রশাসনের কর্তারা গণনা কেন্দ্রগুলি ঘুরে দেখেন৷ রাজ্যের বিভিন্ন স্ট্রং রুমের দায়িত্বে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী৷ গত বৃহস্পতিবার পুর ও নগর সংস্থার নির্বাচনে ২০টির মধ্যে ১৪টিতে ভোট নেওয়া হয়েছে৷ মোট ৭৮৫ জন প্রার্থীর ভাগ্য এখন ইভিএম-বন্দি৷
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy