Advertisement
E-Paper

আবার জট, চুক্তি মেনে ফিরতে নারাজ রিয়াংরা

চুক্তি মেনে মিজোরামে ফিরে যেতে রাজি হচ্ছেন না ত্রিপুরার রিয়াংরা। মিজোরাম সরকার স্পষ্ট জানিয়েছে, ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে যে রিয়াংরা ঘরে ফিরবেন না তাঁদের আর মিজোরামের ভোটার হিসেবে গণ্য করা হবে না।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০১৮ ০৫:৩৩
বিপ্লব দেব। ফাইল চিত্র।

বিপ্লব দেব। ফাইল চিত্র।

চুক্তি মেনে মিজোরামে ফিরে যেতে রাজি হচ্ছেন না ত্রিপুরার রিয়াংরা। মিজোরাম সরকার স্পষ্ট জানিয়েছে, ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে যে রিয়াংরা ঘরে ফিরবেন না তাঁদের আর মিজোরামের ভোটার হিসেবে গণ্য করা হবে না। কিন্তু ৫৪০৭টি পরিবারের মধ্যে মাত্র ৪৫৩টি পরিবার ফিরতে রাজি হয়েছিল। তার পরেও নতুন করে ঘনিয়ে ওঠা জটিলতার জেরে তাঁদের ফেরা থমকে গিয়েছে। রিয়াংদের বেশির ভাগ ত্রিপুরাতেই থেকে যেতে ইচ্ছুক। তাঁরা চান, সেখানে তাঁদের জন্য গড়া হোক রিয়াং স্বশাসিত পরিষদ। আবার ১৯৫১ সালকে ভিত্তিবর্ষ করে ত্রিপুরায় নাগরিকপঞ্জি নবীকরণের দাবি উঠেছে। এমন জটিল পরিস্থিতিতে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবকুমার দেব আজ জানালেন, রিয়াংদের কখনওই স্থায়ী ভাবে ত্রিপুরার নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না, মিলবে না পিআরসি।

আজ রাখিবন্ধন অনুষ্ঠানের পরে বিপ্লব বলেন, ‘‘শরণার্থীদের একাংশ নেতা চুক্তি ভেঙেছেন। উস্কানি দিয়ে পুনর্বাসন বানচাল করছেন।’’ পুনর্বাসন নিয়ে ত্রিপুরা, মিজোরাম, কেন্দ্র ও রিয়াং শরণার্থী সংগঠন এমবিডিপিএফের মধ্যে যে চুক্তি হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে ৩০ সেপ্টেম্বরের পরে ত্রিপুরায় রিয়াং শরণার্থী শিবিরগুলি বন্ধ হবে।

অষ্টাদশ শতক থেকে রিয়াংরা ত্রিপুরার অধীনে ছিল। ২০০১ সালের হিসেবে ত্রিপুরায় রিয়াংদের জনসংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ৬৫ হাজার। রাজ্যে জনসংখ্যার নিরিখে ত্রিপুরিদের পরেই তারা। ১৯৯৫ সাল থেকে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের জেরে রিয়াংরা মিজোরাম ছেড়ে ত্রিপুরায় পালাতে থাকেন। ২০১০ সাল থেকে তাঁদের পুনর্বাসন শুরু হয়। ২০১৭ পর্যন্ত ১৬৪৮টি পরিবারকে মিজোরামের মামিত ও কোলাশিব জেলায় ফেরানো হয়েছে। এত দিন ত্রিপুরা থেকে রিয়াংরা পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতেন। শরণার্থীদের একাংশ চুক্তি ভাঙলেও মিজোরাম সরকার জানিয়েছে ৩০ সেপ্টেম্বরের পরে আর কাউকে সুযোগ দেওয়া হবে না। তাঁদের পোস্টাল ভোটিংও বন্ধ করে দেওয়া হবে। ৩০ সেপ্টেম্বরের পরে মিজোরামে ভোটার তালিকা ঢেলে সাজানো হবে।

শুক্রবার দু’টি পরিবার মিজোরামে ফেরে। শনিবার কেউ ফেরেনি। প্রশ্ন, ৩২ হাজার ৮৭৬ জন শরণার্থীর মধ্যে যাঁরা ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ফিরবেন না— তাঁরা কোথাকার নাগরিক ও ভোটার হবেন? মিজোরামের অ্যাডভোকেট জেনারেল বিশ্বজিৎ দেব বলেন, ‘‘যে পরিবারগুলি ইতিমধ্যে মিজোরামে এসেছে তাঁদের কোনও অভিযোগ নেই। আইন মতে ত্রিপুরায় থাকলে ত্রিপুরার ভোটার তালিকাতেই নাম ওঠার কথা। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনই সিদ্ধান্ত নেবে।’’ ত্রিপুরার অ্যাডভোকেট জেনারেল অরুণকান্তি ভৌমিক জানিয়েছেন, তাঁর কাছে এই বিষয়ে কোনও আইনি পরামর্শ জানতে চায়নি রাজ্য সরকার।

Tripura BJP Biplab Kumar Deb
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy