প্রতীকী ছবি।
পূর্ব রেলে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে ৫০ লক্ষ টাকার বেশি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে চার জনকে গ্রেফতার করল ত্রিপুরা পুলিশ। রেলের আসানসোল ডিভিশনে গ্রুপ-সি এবং গ্রুপ-ডি পদে চাকরি দেওয়ার নাম করে ত্রিপুরার রানিরবাজার এলাকার সাত-আট জনের কাছ থেকে টাকা হাতিয়েছিল এরা। অসম, পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা— তিন রাজ্যেরই লোকজন জড়িত রয়েছে প্রতারণা চক্রটিতে।
জিরানিয়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সুমন মজুমদার জানান, প্রতারিতদের এক জন, শুভম মজুমদার আর্থিক প্রতারণার মামলা করেছিলেন। তার তদন্তে নেমেই চার জনকে ধরা হয়েছে।
সবার প্রথমে ধরা পড়ে সুশান্ত কর্মকার। সে ছিল একটি বিমা সংস্থার এজেন্ট। সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে প্রতারণার চক্র ফেঁদে বসেছিল সে। তার কাছ থেকে মেলে প্রচুর বেআইনি নথিপত্র ও ভুল ইংরেজিতে লেখা পূর্ব রেলের জাল নিয়োগপত্র। তাকে জেরা করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় অনিল ভৌমিক, সত্যব্রত বিশ্বাস এবং রজত বর্ধনকে। অনিল একটি মন্দিরের পূজারি। দ্বিতীয় জন রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য দফতরের অস্থায়ী কর্মী ও তৃতীয় যুবক বিভিন্ন রাজ্যে চাকরিপ্রার্থীদের পাঠানোর কাজ করত। পূজারি অনিল অসুস্থতার কারণে জামিন পেয়েছে। বাকি তিন জনকে সোমবার পশ্চিম জেলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কোর্টে তোলা হয়।
ভারপ্রাপ্ত সরকারি আইনজীবী বিদ্যুৎ সূত্রধর জানিয়েছেন, ওই তিন জনকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
সুমন মজুমদার জানিয়েছেন, এক-এক জনের কাছ থেকে ৭ থেকে ১০ লক্ষ টাকা আদায় করা হয়েছে। পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনে চাকরির জাল নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল। সেগুলিতে সই ১৬ জুলাইয়ের। ২০ জুলাই কাজে যোগ দিতে বলা হয়েছিল। চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নেওয়া হত কয়েক ধাপে। প্রথমে প্রার্থীদের কলকাতায় নিয়ে গিয়ে ধর্মতলা এলাকার একটি হোটেলে নিয়ে তোলা হত। টাকা নেওয়া হত দালালের মাধ্যমে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy