Advertisement
E-Paper

বাংলাদেশের কাছে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া, ইউনূস প্রশাসনের কাছে ১৩৫ কোটি টাকা চাইল ত্রিপুরা

ত্রিপুরা স্টেট ইলেক্ট্রিসিটি কর্পোরেশন লিমিটেড (টিএসইসিএল) বিদ্যুৎ সরবরাহ করে থাকে বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভলপমেন্ট বোর্ডকে (বিপিডিবি)। বকেয়া ১০০ কোটি ছাড়াতেই বন্ধ করা হয় সরবরাহ।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৫:০৪
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। —ফাইল ছবি।

বিদ্যুৎ বিল বাবদ বাংলাদেশ সরকারের কাছে বকেয়া ১৩৫ কোটি টাকা। এ বার সেই বকেয়াই চাইল ত্রিপুরা সরকার। বিদ্যুৎচুক্তি নিয়ে গৌতম আদানির মালিকানাধীন শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে টালবাহানার মধ্যেই ত্রিপুরা সরকার বাংলাদেশকে বকেয়া মিটিয়ে দিতে বলেছে।

বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে ভারতের ‘ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার কর্পোরেশন’এর সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের চুক্তি হয়েছিল। ‘বিদ্যুৎ ব্যাপার নিগম লিমিটেড’এর মাধ্যমে এই চুক্তি হয়। তা মোতাবেক, প্রতি ইউনিটের জন্য একটি নির্দিষ্ট অর্থ ধার্য করেছিল ত্রিপুরা সরকার। সেই অর্থের বিনিময়ে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ পাঠায় তারা। কিন্তু ত্রিপুরা সরকার জানিয়েছে, বাংলাদেশের কাছে বিদ্যুৎ বিল বাবদ অনেক টাকা বকেয়া পড়ে গিয়েছে।

ত্রিপুরার বিদ্যুৎমন্ত্রী রতন নাথ রবিবার বাংলাদেশের বকেয়া নিয়ে মুখ খুলেছেন। তবে তিনি এ-ও জানিয়েছেন, নিয়মিত বকেয়া মিটিয়ে দিচ্ছে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, ‘‘যদিও ১৩৫ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে, তবে বাংলাদেশ নিয়মিত ভাবে বকেয়া মেটাচ্ছে।’’ বিদ্যুৎমন্ত্রী আরও মনে করিয়ে দেন, বিদ্যুৎ বাবদ প্রতি ইউনিটের হিসাবে ছ’টাকা ৬৫ পয়সা করে নেয় ত্রিপুরা সরকার।

ত্রিপুরা স্টেট ইলেক্ট্রিসিটি কর্পোরেশন লিমিটেড (টিএসইসিএল) বিদ্যুৎ সরবরাহ করে থাকে বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভলপমেন্ট বোর্ডকে (বিপিডিবি)। কিন্তু বকেয়া ১০০ কোটি ছাড়িয়ে যেতেই বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করেছিল টিএসইসিএল। চলতি বছরের মে মাসে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিদ্যুৎমন্ত্রী বলেন ‘‘আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি বকেয়া টাকা ফিরিয়ে আনার জন্য। বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে চিঠিও লিখেছি, আমি ব্যক্তিগত ভাবে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করেছি।’’ শুধু তা-ই নয়, ভারতের কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রীর সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন রতনলাল।

আদানিদের সঙ্গে বিদ্যুৎ নিয়ে সমস্যা চলছে বাংলাদেশ সরকারের। ২০১৭ সালে শেখ হাসিনার আমলে আদানি গোষ্ঠীর বিদ্যুৎচুক্তির বিষয়ে হাই কোর্ট তদন্তের নির্দেশ দেয়। এর পাশাপাশি ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারও আদানি-সহ ছ’টি সংস্থাও সঙ্গে হওয়া বিদ্যুৎচুক্তি খতিয়ে দেখছে। কিন্তু বাংলাদেশের বিদ্যুৎমন্ত্রী জানিয়েছেন, তারা এখনই চুক্তি বাতিলের পথে হাঁটছে না। আদালতের নির্দেশের পরই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। অন্য দিকে, সম্প্রতি আদানি গোষ্ঠী বাংলাদেশ সরকারকে চিঠি দিয়ে জানায়, বিদ্যুতের বকেয়া বিল বাবদ ৮০ কোটি ডলার বকেয়া রয়েছে। জবাবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার জানায়, দেশে ডলার সঙ্কট সত্ত্বেও তারা আদানি গোষ্ঠীকে ১৫ কোটি ডলার দিয়েছে। বাকি টাকাও মেটানো হবে বলে আশ্বস্ত করে ঢাকা।

গত কয়েক দিন ধরে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশের একাংশে। একাধিক সংখ্যালঘু নেতা, সন্ন্যাসীকে গ্রেফতারের ফলে বাংলাদেশের কিছু জায়গায় অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ, প্রতিবাদ শামিল হয়েছেন। বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত সরকার। সে দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথাও বলা হয়েছে।

India-Bangladesh Relation Tripura electricity bill
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy