রাস্তা অবরোধের জেরে রাস্তায় দাঁড়িয়ে রয়েছে একাধিক ট্রাক। ছবি: সংগৃহীত।
কেন্দ্রের পথসংক্রান্ত নয়া আইনবিধিতে বলা হয়েছে, কাউকে ধাক্কা মেরে দুর্ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেলে এবং দুর্ঘটনার খবর পুলিশকে না দিলে গাড়িচালকের সর্বোচ্চ দশ বছরের সাজা হতে পারে। কেন্দ্রের নয়া দণ্ডসংহিতা সংক্রান্ত তিনটি আইনে থাকা নয়া এই সংস্থানের বিরুদ্ধেই সারা দেশে প্রতিবাদে নেমেছেন ট্রাকচালকেরা। আগের আইনে সর্বোচ্চ সাজার মেয়াদ ছিল দু’বছর। রবিবার থেকেই দেশের নানা প্রান্তে বিক্ষোভ শুরু হয়। সোমবার থেকে ‘রাস্তা রোকো’ কর্মসূচি শুরু হয় মহারাষ্ট্র, ছত্তীসগঢ়, পঞ্জাব এমনকি পশ্চিমবঙ্গেও।
অন্য দিকে, ট্রাকচালকেরা রাস্তা অবরোধ শুরু করলে তেল সরবরাহে বাধা তৈরি হবে এবং পেট্রল-ডিজ়েলের দাম বাড়বে, এমনটা আশঙ্কা করে দিল্লি, হরিয়ানা, পঞ্জাবের পেট্রল পাম্পগুলিতে গাড়ির লম্বা লাইন পড়ে যায়।
সোমবার ঠানে জেলার মীরা ভায়ান্ডার এলাকায় মুম্বই-আমদাবাদ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পুলিশের দিকে পাথর ছোড়ারও অভিযোগ ওঠে ট্রাক চালকদের বিরুদ্ধে। এ ছাড়াও রাস্তা অবরোধ হয় শোলাপুর, কোলাপুর, নাগপুর এলাকায়।
ছত্তীসগঢ়ে সোমবার ধর্মঘটের ডাক দিয়ে পথে নামে ১২ হাজার বেসরকারি বাস। পঞ্জাবের মোগায় লুধিয়ানা-ফিরোজপুর রোড আটকে বিক্ষোভ দেখান ট্রাক চালকেরা। তাঁদের বিক্ষোভে শামিল হন বেসরকারি বাসচালক এবং বাসমালিকেরাও। মধ্যপ্রদেশের ইনদওর এবং ভোপালেও বিক্ষোভ দেখানো হয়।
এ রাজ্যে গত রবিবার দিল্লি রোড আটকে বিক্ষোভ দেখান ট্রাকচালকেরা। ডানকুনি টোল প্লাজার কাছে বিক্ষোভ দেখানো হয়। প্রায় দু’ঘণ্টা রাস্তা অবরোধের পর পুলিশ গিয়ে বিক্ষোভ তোলে। মঙ্গলবার এই বিক্ষোভের রেশ ছিল। এ দিন খাস কলকাতার খিদিরপুরে রাস্তা অবরোধ করেন ট্রাকচালকেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy