Advertisement
০২ মে ২০২৪
Murder

রাজস্থান থেকে অপহরণ, দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে খুন দুই নাবালককে, বরাত জোরে বাঁচল ছোট ভাই

এক জন একটি কারখানায় কাজ করতেন। অন্যজনের একটি দোকান রয়েছে। অপহৃতদের বাড়ির কাছেই থাকতেন অভিযুক্তেরা। দু’জনেই মাদকাসক্ত। পুলিশের ধারণা, মাদকের টাকা জোগাড় করতেই অপহরণ করা হয়েছিল তিন ভাইকে।

১৫ অক্টোবর রাজস্থানের অলওয়ার থেকে অপহরণ করা হয়েছিল তিন জনকে।

১৫ অক্টোবর রাজস্থানের অলওয়ার থেকে অপহরণ করা হয়েছিল তিন জনকে। প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০২২ ১৮:০৭
Share: Save:

রাজস্থান থেকে অপহরণ করা হয়েছিল তিন নাবালক ভাইকে। দিল্লি থেকে মিলল দু’জনের দেহ। কোনও মতে প্রাণে বাঁচল ছ’বছরের ছোট ভাইটি। অপহরণ এবং খুনের অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতেরা স্বীকার করেছেন, টাকার জন্যই তিন ভাইকে অপহরণ করেছিলেন তাঁরা।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছেন, তিন অপহৃতের নাম আমন (১৩), বিপিন (৮), শিব (৬)। ১৫ অক্টোবর রাজস্থানের অলওয়ার থেকে অপহরণ করা হয়েছিল তাদের। এর পর তিন ভাইয়ের বাবা গুসন সিংহকে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করেন অভিযুক্তেরা।

পুলিশ সেই ফোনে আড়ি পেতে দু’জনকে গ্রেফতার করে। অপহরণকারীরা জানান, তিনটি ছেলেকে রাজস্থান থেকে তুলে দিল্লিতে নিয়ে এসেছিলেন তাঁরা। সেখানে মেহরৌলির জঙ্গলে খুন করে তিন জনের দেহ পুঁতে দেওয়া হয়েছে। এর পরেই জঙ্গলে তল্লাশি শুরু করে দিল্লি ও রাজস্থান পুলিশ। সেখানে আমন এবং বিপিনের দেহ উদ্ধার হয়।

পরে জঙ্গলে খোঁজ মেলে শিবের। তাকে মৃত ভেবে ফেলে চলে গিয়েছিলেন অপহরণকারীরা। উদ্ধারের পর নিজের এবং বাবার নামটিও ঠিক করে বলতে পারছিল না শিশুটি। তাকে উদ্ধার করে হোমে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জেরায় জেনেছে, দুই নাবালকের গলা কেটে খুন করা হয়েছে। যদিও ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। তদন্তে আরও জানা গিয়েছে, দুই অভিযুক্তই বিহারের বাসিন্দা। রাজস্থানের অলওয়ারে কাজ করতেন। এক জন একটি কারখানায় কাজ করতেন। অন্যজনের একটি দোকান রয়েছে। অপহৃতদের বাড়ির কাছেই থাকতেন অভিযুক্তেরা। দু’জনেই মাদকাসক্ত। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, মাদকের টাকা জোগাড় করতেই অপহরণ করা হয়েছিল তিন ভাইকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Murder Kidnap Rajasthan
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE