সীমা হায়দর এবং তাঁর স্বামী সচিন মীণা। ছবি: সংগৃহীত।
পাক বধূ সীমা হায়দর এবং তাঁর প্রেমিক উত্তরপ্রদেশের গ্রেটার নয়ডার রবুপুরার বাসিন্দা সচিন মীণার বিয়ের জন্য ভুয়ো নথি জোগাড় করার অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল নয়ডা পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতেরা হলেন পুষ্পেন্দ্র এবং পবন। তাঁরা বুলন্দশহরের বাসিন্দা। তাঁদের কাছ থেকে ১৫টি ভুয়ো আধার কার্ড উদ্ধার হয়েছে। গত তিন দিন ধরে দুই অভিযুক্তকে জেরা করছিল পুলিশ। সেই সময় তদন্তকারীরা জানতে পারেন, সীমা এবং সচিনের বিয়ের জন্য যে প্রয়োজনীয় নথি দরকার ছিল, সেগুলি পুষ্পেন্দ্র এবং পবন জোগাড় করে দিয়েছিলেন। শুধু তাই-ই নয়, এই দু’জন ভুয়ো নথি বানানোর একটি চক্রও চালাতেন।
উত্তরপ্রদেশ এটিএস সূত্রে খবর, গ্রেটার নয়ডায় আসার পর সীমাকে নিয়ে বুলন্দশহরে গিয়েছিলেন সচিন। এই তথ্য পুলিশের হাতে আসার পর বুলন্দশহরের কোথায় গিয়েছিলেন সীমা-সচিন, তা খোঁজ নেওয়া শুরু করে। তখনই হদিস পান পুষ্পেন্দ্রদের। তার পরই দু’জনকে আটক করে পুলিশ। নয়ডা পুলিশ জানিয়েছে, জেরায় ওই দু’জন দাবি করেছেন যে, সচিন এবং সীমা তাঁদের বিয়ের জন্য নথি সংগ্রহ করতে এসেছিলেন। বুলন্দশহরের আহমদগড়ে জনসেবা কেন্দ্র চালান পুষ্পেন্দ্র এবং তাঁর সহযোগী পবন। এই কেন্দ্র থেকে বেশ কিছু ভুয়ো আধার কার্ডও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
এই ভুয়ো নথি উদ্ধার হওয়ার পর থেকেই সীমা এবং সচিনের বিয়ে নিয়ে সন্দেহ আরও গাঢ় হচ্ছে। সীমা এবং সচিন দু’জনেই দাবি করেছিলেন নেপালের পশুপতিনাথ মন্দিরে তাঁরা বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু পুষ্পেন্দ্র এবং পবন ধরা পড়ায়, সমী এবং সচিনের দাবি নিয়েও রহস্য ঘনাচ্ছে।
পাবজি গেম খেলার সময় ২০১৯ সালে সীমার সঙ্গে পরিচয় হয় সচিনের। তার পর তাঁদের মধ্যে প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তার পর পাকিস্তান থেকে নেপাল হয়ে ভারতে ঢোকেন সীমা। সঙ্গে নিয়ে আসেন তাঁর চার সন্তানকেও। সীমা ভারতে আসার পর থেকেই তাঁর উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। শুধুই কি প্রেমের টানে, না কি এর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ আছে, তা তদন্ত করছে পুলিশ এবং গোয়েন্দারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy