মণিপুর হিংসার একটি ছবি। —ফাইল চিত্র।
‘আলোচনা এবং সাংবিধানিক উপায়ে’ হিংসাদীর্ণ রাজ্যে শান্তি ফেরাতে প্রস্তাব পাশ করাল মণিপুর বিধানসভা। ওই একই দিনে নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যটি। মঙ্গলবার সকালে রাজ্যের চূড়াচাঁদপুর এবং বিষ্ণুপুর জেলার মাঝে কোইরেনটাক অঞ্চলের একটি কুকি অধ্যুষিত গ্রামে হামলা চালায় অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা। পাল্টা গুলি চালায় গ্রামরক্ষী বাহিনীও। গুলির লড়াইয়ে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থলে বিশেষ অভিযান চালিয়ে এক সন্দেহভাজনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের মধ্যে এক জনের নাম জাংমিনলুন গাংতে। অন্য আর এক জনের নাম এবং পরিচয় এখনও প্রকাশ্যে আনা হয়নি। কুকিদের সংগঠন আইটিএলএফ জানিয়েছে, সকাল ১০টা নাগাদ কুকি-জো অধ্যুষিত একটি গ্রামে হামলা চালানো হয়। গ্রামরক্ষী বাহিনী প্রতিরোধ গড়ে তুলতে দু’জনের মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার সকাল থেকেই গোটা এলাকায় টহল দেওয়া শুরু করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। এই হামলার সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে এক জনকে আটক করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, হামলায় সালাম জ্যোতি সিংহ নামের এক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। মাঠে চাষ করার সময় তিনি আক্রান্ত হন। গত ৩ মে মণিপুরে অশান্তি শুরু হওয়ার পর এই প্রথম বিধানসভার অধিবেশন বসে মঙ্গলবার। ১১ মিনিটের অধিবেশনে আলোচনার মাধ্যমে শান্তি ফেরানোর প্রস্তাব পাশ করানো হয়। যদিও নিরাপত্তাগত কারণে রাজধানী ইম্ফলে গিয়ে বিধানসভার অধিবেশনে যোগ দেননি দশ জন কুকি-জো গোষ্ঠীর বিধায়ক।
প্রসঙ্গত, গত ৩ মে জনজাতি ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’ (এটিএসইউএম)-এর কর্মসূচি ঘিরে মণিপুরে অশান্তির সূত্রপাত। মণিপুর হাই কোর্ট মেইতেইদের তফসিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারকে বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছিল। এর পরেই জনজাতি সংগঠনগুলি তার বিরোধিতায় পথে নামে। আর সেই ঘটনা থেকেই সংঘাতের সূচনা হয় সেখানে। মণিপুরের আদি বাসিন্দা হিন্দু ধর্মাবলম্বী মেইতেই জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কুকি, জ়ো-সহ কয়েকটি তফসিলি জনজাতি সম্প্রদায়ের (যাদের অধিকাংশই খ্রিস্টান) সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত প্রায় দু’শো জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘরছাড়ার সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy