E-Paper

রাষ্ট্রপ্রধান-পত্নীদের মিলেটের খাবার চেনালেন দিনহাটার চাষি

দিনহাটা দুই ব্লকের চৌধুরীহাট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার দুই কৃষক রূপময়ী মোদক ও প্রমীলা মোদক মিলেটের চাল ও বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী তৈরির পদ্ধতি তুলে ধরেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৭:০৭
জি২০ সম্মেলনে দিনহাটার দুই কৃষক ও তাঁদের প্রশিক্ষক।

জি২০ সম্মেলনে দিনহাটার দুই কৃষক ও তাঁদের প্রশিক্ষক। —নিজস্ব চিত্র।

জি২০ সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতে আসা রাষ্ট্রপ্রধানদের স্ত্রীদের কাছে মিলেট থেকে বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী তৈরির পদ্ধতি তুলে ধরলেন কোচবিহারের দিনহাটার সীমান্ত গ্রামের দুই মহিলা কৃষক। শনিবার নয়াদিল্লির পুসা কৃষি গবেষণাগার ক্যাম্পাসে।

দিনহাটা দুই ব্লকের চৌধুরীহাট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার দুই কৃষক রূপময়ী মোদক ও প্রমীলা মোদক মিলেটের চাল ও বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী তৈরির পদ্ধতি তুলে ধরেন। কেন্দ্রীয় কৃষি দফতরের অধীনস্থ ‘স্মল ফার্মার্স অ্যাগ্রিবিজ়নেস কনসর্টিয়াম’-ের আমন্ত্রণে প্রশিক্ষক সৈকত সরকারের সঙ্গে তাঁরা বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে যান।

২০২৩ সাল ‘আন্তর্জাতিক মিলেট বর্ষ’ হিসেবে ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। জি২০ সম্মেলনে মিলেটকে সকলের সামনে তুলে ধরে বিশ্বব্যাপী তার প্রচার ও প্রসারের চেষ্টা চলছে। ভারতে মিলেট চাষের সাফল্য তুলে ধরতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। সে কারণে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সফল মিলেট চাষিদের কেন্দ্রীয় কৃষি দফতরের পক্ষ থেকে ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। মিলেট চাষের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ সবার সামনে তুলে ধরতে কৃষি দফতরের পুসা ক্যাম্পাসের প্রদর্শনী কক্ষে পুরনো দিনের কৃষি যন্ত্রপাতির পাশাপাশি, আধুনিক যন্ত্রও প্রদর্শিত হয়েছে। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের স্ত্রীয়েরা পুসা ক্যাম্পাসে দিনহাটার ওই দুই মহিলা-সহ দেশের বিভিন্ন স্থানের মিলেট চাষিদের সঙ্গে কথা বলেন। বিশ্বের দরবারে ভারতের মিলেট ও মিলেট থেকে তৈরি বিভিন্ন খাবার দেখে বিদেশি অতিথিরা ‘অভিভূত’ হন বলে দাবি ওই দুই কৃষকের প্রশিক্ষক সৈকতের।

গত বছর ডিসেম্বর মাসে সৈকতের উদ্যোগে প্রায় ১০-১২ বিঘা জমিতে মিলেট চাষ করা হয়। সৈকত জানান, এক সময়ে প্রচুর মিলেট চাষ করা হলেও, এখন আর কেউ তা করার আগ্রহ দেখান না। কিন্তু মিলেটের খাদ্যগুণ যথেষ্ট এবং মিলেট চাষ করলে জল সংরক্ষণ করা যায়। কারণ, ওই চাষে খুব কম জল লাগে। এই বিষয়টি তিনি কৃষকদের সামনে তুলে ধরেন। মিলেট চাষের ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা ও উৎসাহ দেয় উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, কোচবিহার কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র এবং স্থানীয় একটি ক্লাব। পরবর্তীতে কয়েক জন কৃষককে ‘আতমা’ প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষি দফতরের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হয়েছিল।

রূপময়ী এবং প্রমীলা জানান, এত বড় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পেরে তাঁরা খুব খুশি।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

G20 Summit 2023 Dinhata Farmers Food

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy