উমেশ পাল খুনের ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে গ্যাংস্টার আতিকের বিরুদ্ধে। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
ছ’জন নয়, ১৩ জন শুটার তৈরি ছিল উমেশ পালকে হত্যার জন্য। প্রথম দলে ছিল ৬ শুটার। ওই দলটি ব্যর্থ হলে ‘অপারেশন’ সফল করতে ‘ব্যাক আপ’ হিসাবে তৈরি ছিল আরও ৭ জন শুটারের একটি দল। এমনই দাবি করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)।
এসটিএফ সূত্রে আরও দাবি করা হয়েছে যে, উমেশকে খুন করার পরিকল্পনা হয়েছিল বরেলী জেলে বসেই। সেই জেলে বন্দি এই খুনে অভিযুক্ত তথা সমাজবাদী পার্টির প্রাক্তন সাংসদ আতিক আহমেদের ভাই আশরফ। অন্য দিকে, আতিক বন্দি গুজরাতের সাবরমতী জেলে। পুলিশ সূত্রে খবর, উমেশকে হত্যার আগে দুই ভাইয়ের মধ্যে কথা হয়। তার পরই এই ‘অপারেশন’ চালানোর প্রস্তুতি শুরু হয়।
এই খুনের ঘটনায় শুটারদের মধ্যে সাদাত খান নামে এক জনকে সোমবার গোরক্ষপুর থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নেপালে পালানোর চেষ্টা করছিল সে। পুলিশ সূত্রে খবর, এই সাদাকত ইলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের মুসলিম বোর্ডিং হস্টেলের ৩৬ নম্বর ঘরে বেআইনি ভাবে থাকছিল। আর এই ঘরেই উমেশ হত্যাকাণ্ডের শুটাররা জড়ো হয়েছিল। সোমবারই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আতিকের গাড়িচালক আরবাজের মৃত্যু হয়েছে। বাকি শুটারদের খোঁজ চালাচ্ছে এসটিএফ। ইতিমধ্যেই ৪০ জনকে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আটক করেছে পুলিশ।
সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার পর কয়েক জন শুটারকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে এক জন হল সাবির। যিনি রাইফেল নিয়ে গুলি চালাচ্ছিলেন। এ ছাড়াও আতিকের ছেলে আসাদ ছিলেন। ঘটনার দিন যাঁরা বোমা ছুড়ছিলেন তাঁদের মধ্যে গুড্ডু মুসলিম, আরবাজ এবং গুলামকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। এঁদের মধ্যে আরবাজ পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে মারা গিয়েছেন সোমবার।
উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এসটিএফের অতিরিক্ত ডিজি অমিতাভ যশ জানিয়েছেন, ধৃত শুটার সাদাকত গাজিপুরের বাসিন্দা। বয়স ২৭। গ্রেফতারের সময় নিজেকে ইলাহাবাদ হাই কোর্টের আইনজীবী বলে দাবি করেছিলেন। নেপালে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন সাদাকত। কিন্তু তার আগেই গ্রেফতার করেছে এসটিএফ।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বাড়ির সামনেই গুলি করে খুন করা হয়েছিল বহুজন সমাজ পার্টির বিধায়ক রাজু পাল খুনের একমাত্র সাক্ষী উমেশকে। এই ঘটনায় অভিযোগ ওঠে গ্যাংস্টার আতিকের বিরুদ্ধে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy