উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন বিধায়ক আতিকের বিরুদ্ধে সেই রাজ্যেরই বহুজন সমাজ পার্টির বিধায়ক রাজু পালকে হত্যার অভিযোগ ছিল। ফাইল চিত্র।
ভয়ে কাঁটা হয়ে সবরমতী জেল থেকে রওনা হয়েছিলেন গ্যাংস্টার আতিক আহমেদ। উমেশ পাল হত্যায় অভিযুক্ত উত্তরপ্রদেশের এই প্রাক্তন বিধায়ক অবশেষে নির্বিঘ্নেই এসে পৌঁছলেন প্রয়াগরাজের জেলে। পথে তাঁর গাড়িতে একটি গরুর ধাক্কা খাওয়ার ঘটনা ছাড়া বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। গ্যাংস্টারের মৃত্যুভয় মিথ্যে প্রমাণ করে আঁচড়টিও লাগেনি তাঁর গায়ে।
সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ আতিককে নিয়ে প্রয়াগরাজ নৈনি সেন্ট্রাল জেলে পৌঁছয় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। তার আগে বরেলির জেল থেকে উমেশ হত্যায় অভিযুক্ত তাঁর ভাই আশরাফ আহমেদকেও সোমবার দুপুর দেড়টা নাগাদ নিয়ে আসা হয় প্রয়াগরাজের ওই জেলেই। মঙ্গলবারই উমেশ অপহরণ এবং হত্যা মামলায় সাজা ঘোষণা হওয়ার কথা প্রয়াগরাজের আদালতে। তার আগে ওই মামলার দুই মূল অভিযুক্ত গ্যাংস্টার আতিক এবং তাঁর ভাই আশরাফকে প্রয়াগরাজের জেলে নিয়ে আসতেই নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয় জেলের।
উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন বিধায়ক আতিকের বিরুদ্ধে সেই রাজ্যেরই বহুজন সমাজ পার্টির বিধায়ক রাজু পালকে হত্যার অভিযোগ ছিল। ২০০৫ সালের ওই ঘটনায় পরে ওই হত্যাকাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শী, রাজুর ঘনিষ্ঠ বন্ধু উমেশকেও অপহরণ করা হয়। পরে উমেশকে ছেড়ে দিলেও গত কয়েক বছরে একাধিক বার প্রাণঘাতী আক্রমণ হয় উমেশের উপর। শেষ পর্যন্ত গত ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রয়াগরাজের রাস্তায় প্রকাশ্যে উমেশকে খুন করা হয়। যে ঘটনায় অভিযোগের তির আবার ঘুরেছে আতিকের দিকেই। জড়িয়েছে তাঁর ভাই আশরাফের নামও। ২৮ মার্চ এই মামলারই শাস্তি ঘোষণা করার কথা প্রয়াগরাজ আদালতের। কিন্তু তার আগে প্রাণ সংশয়ের অজুহাত দিয়ে ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে আদালতে উপস্থিত থাকার আর্জি জানিয়েছিলেন আতিক। গুজরাতের সবরমতী জেলে বন্দি আতিক বলেছিলেন, প্রয়াগরাজে আসার পথে ভুয়ো এনকাউন্টার করে বা দুর্ঘটনা ঘটিয়ে শেষ করে দেওয়া হতে পারে তাঁকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy