চিনকে ছাপিয়ে গিয়ে ‘বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ’-এর তকমা পেয়েছে ইতিমধ্যেই। ২০২৫ সালের শেষে ভারতের জনসংখ্যা ১৪৬ কোটিতে পৌঁছোবে বলে রাষ্ট্রপুঞ্জের জনসংখ্যা বিষয়ক দফতর ইউএনএফপি-র সাম্প্রতিক রিপোর্টে বলা হয়েছে।
২০১১ সালের পর ভারতে জনশুমারি না হলেও রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে ২০২৩ সালে দেওয়া পরিসংখ্যান অনুসারে চিনকে সরিয়ে পয়লা নম্বর স্থান দখল করেছিল ভারত। সে সময় এ দেশের জনসংখ্যা ১৪২ কোটির সামান্য বেশি ছিল বলে রিপোর্টে জানানো হয়েছিল। সাম্প্রতিক রিপোর্ট বলছে, চলতি বছরের মোট জনসংখ্যায় ০-১৪ বছর বয়সীদের মধ্যে ২৪ শতাংশ, ১০-১৯ বছর বয়সীদের মধ্যে ১৭ শতাংশ এবং ১০-২৪ বছর বয়সীদের মধ্যে ২৬ শতাংশ।
আরও পড়ুন:
তবে সামগ্রিক ভাবে ভারতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমার বার্তাও রয়েছে ২০২৫ সালের ‘বিশ্ব জনসংখ্যার অবস্থা’ (এসএডব্লিউপি) শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে। প্রজনন ক্ষমতা হ্রাসের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে ‘দ্য রিয়্যাল ফার্টিলিটি ক্রাইসিস’ শীর্ষক অধ্যায়টিতে। উল্লেখ রয়েছে, জন্মবৃদ্ধির হার কমার। গড়ে ভারতীয় মহিলারা এক প্রজন্ম থেকে পরবর্তী প্রজন্মে জনসংখ্যার সামগ্রিক আকার বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনের তুলনায় কম সন্তানের জন্ম দিচ্ছেন বলেও ওই রিপোর্ট জানাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, এই প্রবণতা শুধু ভারতের নয়, সামগ্রিক ভাবে গোটা বিশ্বের বলে ২০২২ সালে জানিয়েছিল রাষ্ট্রপুঞ্জ। বলা হয়েছিল, বিশ্বের জনসংখ্যা ৭০০ কোটি থেকে ৮০০ কোটিতে পৌঁছোতে সময় লেগেছে ১২ বছর। কিন্তু ৮০০ থেকে ৯০০ কোটিতে পৌঁছোতে সময় লাগবে সাড়ে ১৪ বছর। কারণ, গোটা বিশ্বেই জন্মহার কমেছে। ২০৮০ সাল নাগাদ বিশ্বের জনসংখ্যা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছোবে। জনসংখ্যা হবে এক হাজার কোটির বেশি।