Advertisement
E-Paper

হামলা চালাতে পারে পুতিন-সেনা! সীমান্তে যুদ্ধবিমান মোতায়েন শুরু করল পোল্যান্ড, আশঙ্কা ইউরোপে

আমেরিকা ও পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলির সামরিক জোট ‘নেটো’র সদস্য পোল্যান্ড যুদ্ধের গোড়া থেকেই ইউক্রেনকে মদত দিয়েছে। পাশাপাশি, ইউক্রেনের ঘরছাড়া বহু নাগরিক সে দেশে ঠাঁইও পেয়েছেন।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০২৫ ১৭:২২
Poland scrambles fighter jets after massive strikes on Ukraine by Russian force

গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

ইউক্রেনের পরে এ বার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পোল্যান্ডে সামরিক অভিযানের ঘোষণা করতে পারেন বলে আশঙ্কা সে দেশের সরকারের। এই আবহে সম্ভাব্য রুশ হামলা ঠেকাতে সীমান্ত বরাবর যুদ্ধবিমান মোতায়েন শুরু করল সামরিক জোট নেটোর সদস্য রাষ্ট্রটি। শুরু হয়েছে, আকাশসীমা বরাবর যুদ্ধবিমানের টহলদারি। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে ইউরোপে যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

পশ্চিম ইউরোপ এবং রুশ ভূখণ্ডের ‘বাফার রাষ্ট্র’ হিসেবে পরিচিত পোল্যান্ড। রাশিয়া-পোল্যান্ড সীমান্তের দৈর্ঘ্য প্রায় ২৩২ কিলোমিটার। সেই সীমান্তেরই সামরিক ভাবে গুরুত্বপূর্ণ কিছু অবস্থানে যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে পোল্যান্ড। সে দেশের সেনার অপারেশনাল কমান্ড সমাজমাধ্যমে এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘ইউক্রেনের ভূখণ্ডে যুদ্ধক্ষেত্রের সীমা ছাড়িয়ে রুশ যুদ্ধবিমান এবং ড্রোনের গতিবিধি নজরে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে পোল্যান্ড এবং সামরিক মিত্র বিমানগুলি আকাশসীমা সুরক্ষিত রাখার উদ্দেশ্যে উড়ান শুরু করেছে।’’

শনিবার ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে রাশিয়া ড্রোন হামলা চালিয়েছিল। গত সাড়ে তিন বছরের যুদ্ধে সেটিই রাশিয়ার ‘সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা’ বলে সামরিক পর্যবেক্ষকদের অনেকে চিহ্নিত করেছেন। পোল্যান্ড এবং তাঁর সহযোগী ইউরোপের দেশগুলির রুশ সীমান্তে বিমান টহলদারি নতুন করে পশ্চিম ইউরোপে যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি করেছে। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের মার্চে প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক রুশ হামলা ঠেকাতে তাঁর দেশের প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক ও সক্ষম পুরুষকে বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমরা এই বছরের শেষ নাগাদ এমন একটি মডেল তৈরি করতে চাই, যাতে পোল্যান্ডের প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকে এবং আমাদের রিজ়ার্ভ বাহিনী সম্ভাব্য হুমকির মোকাবিলায় যথেষ্ট সক্ষম হয়।’’

গত মাসে পোল্যান্ড এবং সুইডেনের মধ্যবর্তী সমুদ্রের তলা দিয়ে যাও উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎ পরিবাহী লাইনের কাছে রাশিয়ার একটি জাহাজের ‘সন্দেহজনক গতিবিধি’ নজরে এসেছে বলে অভিযোগ করেছিল পোল্যান্ড। তার আগে গত বছর রুশ ড্রোনের বিরুদ্ধে আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছিল পোল্যান্ডের সেনা। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে পুতিনের যুদ্ধ ঘোষণার পরেই খোলাখুলি ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়েছিল ওয়ারশ। সম্প্রতি, টাস্ক বেলারুশের ভূখণ্ডে পুতিনের পরমাণু অস্ত্র মোতায়েনের সিদ্ধান্তেরও সমালোচনায় সরব হয়েছিলেন। ‘আন্তর্জাতিক পরমাণু অস্ত্র সংবরণ’ নীতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছিলেন মস্কোর বিরুদ্ধে। পাশাপাশি, রুশ হামলায় ঘরছাড়া ইউক্রেনের বহু নাগরিককেও আশ্রয় দিয়েছে পোল্যান্ড।

Russia-Ukraine War poland Fighter Jets Ukraine Drone Attack Drone Attack
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy