‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পরে পাকিস্তানের ড্রোন হামলা ঠেকাতে কার্যকরী ভূমিকা নিয়েছিল দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ‘ডি-৪ অ্যান্টি ড্রোন সিস্টেম’। চিনা ড্রোনের হানাদারি রুখতে এ বার ‘দ্বীপরাষ্ট্র’ তাইওয়ান ‘ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা’ (ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজ়েশন বা ডিআরডিও)-র তৈরি সেই ড্রোন প্রতিরোধী ব্যবস্থায় ভরসা রাখতে চাইছে।
ভারত ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড-বিইএল এবং জেন টেকনোলজিসের প্রযুক্তিগত সহায়তায় ডিআরডিও-র তৈরি ডি-৪ ড্রোন প্রতিরোধী ব্যবস্থা ৩৬০ ডিগ্রির মধ্যে যে কোনও অবস্থানে শত্রুপক্ষের ড্রোন চিহ্নিত করে ধ্বংস করতে সক্ষম। এতে ড্রোন বিধ্বংসী প্রথাগত অস্ত্রের পাশাপাশি রয়েছে ৩০ কিলোওয়াটের ‘লেজ়ার গান’ও। এর পাল্লা প্রায় ৪ কিলোমিটার। ডিআরডিও-র হায়দরাবাদ ভিত্তিক শাখা ‘সেন্টার ফর হাই এনার্জিস সিস্টেম্স অ্যানড সায়েন্সেস’ (চেস) বর্তমানে ডি-৪ ড্রোন প্রতিরোধী ব্যবস্থা নির্মাণের দায়িত্বে রয়েছে।
আরও পড়ুন:
গত কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিক ভাবে চিনা নজরদারি ড্রোনের বহর তাইওয়ানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করছে বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে ভারতের কাছে ইতিমধ্যেই ওই অস্ত্র কিনতে চেয়ে তাইওয়ান বার্তা পাঠিয়েছে বলে সরকারি সূত্র উদ্ধৃত করে প্রকাশিত খবরে দাবি। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জবাবে গত ৭ মে পাক অধিকৃত কাশ্মীর এবং পাক পঞ্জাবের ন’টি জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ভারতীয় সেনার ‘অপারেশন সিঁদুর’। তার জবাবে ভারতে হামলা চালিয়েছিল পাক বাহিনী। আর সেই হানাদারিতে তাদের বড় ভরসা ছিল তুরস্কের তৈরি ‘বখতিয়ার টিবি-২’, ‘টিএআই অন্কা’র এবং চিনের প্রযুক্তিগত সহায়তায় নির্মিত ‘সিএএসসি সিএইচ-৪ রেনবো’, ‘সিএআইজি উইং লুং-২’-এর মতো ড্রোন। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ভারতীয় সেনার ডি-৪ ড্রোন প্রতিরোধী ব্যবস্থা সেগুলি ধ্বংস করেছিল।