আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার (আইএমএফ)-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ক্রিস্টালিনা জিওরজিয়েভা।- ফাইল চিত্র।
২০১৯ সালে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির যে হ্রাস দেখা গিয়েছে, তাকে মন্দা বলা যায় না। বরং ভারতের অর্থনীতি নিয়ে আশাবাদী তিনি। দাবি করলেন, আগামী দু’বছরের মধ্যে আর্থিক বৃদ্ধির হার ৬.৫ শতাংশে পৌঁছবে। বাজেটের আগের দিন এমনই আশার বাণী শোনালেন, আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার (আইএমএফ)-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ক্রিস্টালিনা জিওরজিয়েভা।
মোদী জমানায় ২০১৬-১৭-য় বৃদ্ধির হার ৮.২ শতাংশ ছুঁয়েছিল। তার পর থেকেই তা নিম্নমুখী। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে বৃদ্ধির হার নেমে আসে ৭.২ শতাংশে। পরের বছর আরও নেমে হয় ৬.৮ শতাংশ। গতকাল কেন্দ্র হিসেব সংশোধন করে জানিয়েছে, ওই দুই বছর বৃদ্ধির হার আসলে আরও কম ছিল। যথাক্রমে ৭.১ শতাংশ ও ৬.১ শতাংশ। তার মধ্যে আবার ২০১৯ সালে বৃদ্ধির হার আকস্মিক ভাবে অনেকটা কমে যায়। কিন্তু সেটাকে এখনই আর্থিক মন্দা বলতে নারাজ আইএমএফ ডিরেক্টর।
তিনি জানিয়েছেন, ভারত এমন কিছু পরিকল্পনা নিয়েছে, পরে যার সুফল পাওয়া যাবে। তবে এর তাৎক্ষণিক কিছু প্রভাব অর্থনীতিতে পড়বে। যেমন, জিএসটি, নোটবন্দির মতো বড় পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্র। ক্রিস্টালিনা দাবি, এর তাৎক্ষণিক খারাপ প্রভাব পড়েছে ঠিকই, কিন্তু পরে ভারতের অর্থনীতিতে এর সুদুরপ্রসারী সুফল মিলবে।
আরও পড়ুন: এ বার বৃদ্ধি, ‘দাবি’ সমীক্ষার
আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার (আইএমএফ)-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর যে ভারতের অর্থনীতি নিয়ে আশাবাদী তা এ দিন স্পষ্ট করে দিয়ে বলেছেন, “আর্থিক বৃদ্ধির যে হ্রাস ঘটেছে, তা অবশ্যই তাত্পর্যপূর্ণ, কিন্তু তা বলে এখনই আর্থিক মন্দা চলছে এমন বলার পরিস্থিতি আসেনি। ভারত এখনও এই পরিস্থিতি থেকে অনেকটা দূরে রয়েছে।” বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারতের বিক্রিবাটা খুবই কমে গিয়েছে। যেমন মাসের পর মাস বিক্রিতে মন্দার দুঃসংবাদ শোনাচ্ছে গাড়ি শিল্প। শুধু গাড়ি শিল্পেই কাজ খুইয়েছেন কয়েক লক্ষ কর্মী। তেমনই, প্রায় সমস্ত শিল্পেই বিক্রিবাটায় বেশ ঘাটতি দেখা গিয়েছে। এবং এই সবের প্রভাব আপাত ভাবে ভারতের অর্থনীতিতে পড়েছে।
আরও পড়ুন: বাজেট লাইভ: কঠিন পরিস্থিতিতে কতটা সাহসী হতে পারবেন নির্মলা
তিনি এও জানিয়েছেন যে, “ভারতে বাজেটের জন্য বরাদ্দ রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রার নীচে। দেশ সেটা খুব ভাল করেই জানে, অর্থমন্ত্রীও সে ব্যাপারে অবগত। এই রাজস্ব সংগ্রহ বাড়াতে হবে, তাতেই একমাত্র অর্থনীতির উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব হবে।” আইএমএফ মনে করছে, ২০২০ সালে ৫.৮ শতাংশ আর্থিক বৃদ্ধি ঘটবে এবং ২০২১ সালে সেই হার গিয়ে দাঁড়াবে ৬.৫ শতাংশে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy