দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে চিতা আনা নিয়ে দু’দেশের মধ্যে ইতিমধ্যেই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ফাইল চিত্র।
নাবিমিয়ার পর এ বার দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে চিতা আনছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম দফায় ১২টি চিতা দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে বিমানে উড়িয়ে আনা হবে।’’ এর পর সেগুলি মধ্যপ্রদেশের কুনো-পালপুর জাতীয় উদ্যানে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্মদিনে, ২০২২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর আফ্রিকার আর এক দেশ নামিবিয়া থেকে দেশে ৮টি চিতা আনিয়ে মধ্যপ্রদেশের কুনো-পালপুর জাতীয় উদ্যানে ছাড়া হয়েছিল। ৫টি স্ত্রী এবং ৩টি পুরুষ চিতাকে খাঁচা থেকে মুক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী স্বয়ং। কেন্দ্রের দাবি, চল্লিশের দশকে ভারতের বনভূমি থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া চিতাকে ফিরিয়ে আনার উদ্দেশ্যেই এই পরিকল্পনা। যদিও তা নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি।
কারণ, জিনগত বিবর্তন বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে, প্রায় ৫০০০ বছর আগে আফ্রিকার চিতার (বিজ্ঞানসম্মত নাম ‘অ্যাসিনোনিক্স জুবেটাস জুবেটাস’) থেকে জন্ম হয়েছিল তার জাতভাই এশীয় চিতার (বিজ্ঞানসম্মত নাম ‘অ্যাসিনোনিক্স জুবেটাস ভ্যানাটিকাস’)। সেই থেকে তারা ভিন্ন উপপ্রজাতি। ১৯৪৭ সালে মধ্যভারতের সরগুজায় (বর্তমানে ছত্তীসগঢ় রাজ্যে) শেষ বার তাদেরই সন্ধান মিলেছিল। অর্থাৎ ভারতের মাটি কখনওই মোদী সরকারের আনা চিতাদের বাসভূমি ছিল না।
বিতর্কের আবহেই সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ১০০টি চিতা আনার চুক্তি করেছে কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রক। ভূপেন্দ্র জানিয়েছেন, আগামী কয়েক বছর ধরে ধাপে ধাপে বাকি চিতাগুলিকে উড়িয়ে আনা হবে। নামিবিয়া থেকে আনা একটি স্ত্রী চিতা কিডনিতে সংক্রমণের শিকার হলেও সেটি এখন সুস্থ রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy