Advertisement
০৬ ডিসেম্বর ২০২৩
Kuldeep Sengar

নির্যাতিতার বাবাকে খুনে ১০ বছর জেল সেঙ্গারের

বিচারক ধর্মেশ শর্মা বলেন, নির্যাতিতা তাঁর বাবাকে হারিয়েছেন। তাঁর ঘরে ফেরারও উপায় নেই।

কুলদীপ সেঙ্গার।

কুলদীপ সেঙ্গার।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২০ ০২:০৮
Share: Save:

নাবালিকাকে ধর্ষণের দায়ে আজীবন কারাদণ্ড হয়েছিল আগেই। উন্নাওয়ের সেই নির্যাতিতার বাবাকে অনিচ্ছাকৃত খুনের দায়ে শুক্রবার ফের ১০ বছরের কারাদণ্ড হল উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সিংহ সেঙ্গারের। এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত, কুলদীপের ভাই অতুলকেও একই সাজা দিয়েছে দিল্লির জেলা আদালত। পাশাপাশি দু’জনকেই ১০ লক্ষ টাকা করে নির্যাতিতার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

বিচারক ধর্মেশ শর্মা বলেন, নির্যাতিতা তাঁর বাবাকে হারিয়েছেন। তাঁর ঘরে ফেরারও উপায় নেই। পরিবারে তিনটি মেয়ে-সহ চার নাবালক-নাবালিকা আছে। বিচারকের মন্তব্য, ‘‘অস্বীকার করার উপায় নেই, আইনের শাসন লঙ্ঘিত হয়েছে। এক জন জনপ্রতিনিধি হিসেবে সেঙ্গারের সেই আইনের শাসন বজায় রাখা উচিত ছিল। ওই ব্যক্তি পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ছিলেন। কিন্তু যে ভাবে অপরাধ করা হয়েছে, তাতে সেঙ্গারের বিরুদ্ধে কোনও নরম মনোভাব দেখানো যায় না।’’

নির্যাতিতার বাবার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে ভুয়ো মামলা রুজু এবং পুলিশি হেফাজতে নির্যাতন করায় অশোক সিংহ ভদৌরিয়া ও কে পি সিংহ নামে দুই পুলিশকর্মীকেও ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। আদালত অবশ্য বলেছে, অপরাধীদের এ ক্ষেত্রে খুনের উদ্দেশ্য ছিল না। তাই গত সপ্তাহে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ ধারায় অনিচ্ছাকৃত খুনের পাশাপাশি কুলদীপ-সহ বাকি আসামিদের অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছিল আদালত। বিচারক জানান, ঘটনার সময়ে সেঙ্গার দিল্লিতে থাকলেও উন্নাওয়ের পুলিশকর্মীদের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল। নির্যাতিতার বাবাকে রাস্তা থেকে তুলে থানায় নিয়ে গিয়ে প্রবল অত্যাচার করা হয়। পরের দিনই মারা যান তিনি। পুলিশি হেফাজতে আহত হওয়ার পরে যে চিকিৎসকেরা নির্যাতিতার বাবাকে দেখেছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে উত্তরপ্রদেশ সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE