প্রতীকী ছবি।
মারা গেলেন উন্নাওয়ের সেই তরুণী। শুক্রবার রাত পৌনে ১২টা নাগাদ দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। হাসপাতাল সূত্রে এমনটাই জানানো হয়েছে। চিকিত্সক সলভ কুমার বলেন, “রাত ১১.১০ মিনিটে হৃদরোগে আক্রান্ত হন ওই তরুণী। তাঁকে বাঁচানোর সব রকম চেষ্টা করা হয়। কিন্তু বাঁচানো সম্ভব হয়নি।”
শুক্রবারই হাসপাতালে বিছানায় শুয়ে তরুণী পরিবারকে জানিয়েছিলেন, তিনি মরতে চান না। অভিযুক্তদের শাস্তি দেখতে চান। এ প্রসঙ্গে তরুণীর ভাই বলেন, “দিদি বলছিল আমাকে বাঁচাও। দোষীদের মৃত্যুদণ্ড দেখতে চাই আমি।” হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও জানিয়ে দিয়েছিলেন, আগামী ২৪-৪৮ ঘণ্টা খুব সঙ্কটময়।
বৃহস্পতিবার রায়বরেলীর আদালতে সাক্ষ্য দিতে যাচ্ছিলেন ওই তরুণী। অভিযোগ, পাঁচ জন তাঁকে ঘিরে ধরে। যাদের মধ্যে ছিল ওই গণধর্ষণ কাণ্ডে অভিযুক্ত দু’জন। প্রথমে তাঁকে বেত দিয়ে পেটানো হয়। তার পর গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। শরীরে ৯০ শতাংশ পুড়ে যায় তরুণীর। তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে লখনউয়ের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ওই দিনই তরুণীকে বিমানে করে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। সেই ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাঁচ অভিযুক্ত হরিশঙ্কর ত্রিবেদী, রামকিশোর ত্রিবেদী, উনেশ বাজপাই, শিবম ও শুভম ত্রিবেদীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
শিবম ও শুভম ত্রিবেদীর বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ করেছিলেন তরুণী। অভিযোগ ছিল, ২০১৮-র ডিসেম্বরে তরুণীকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে ওই দু’জন। সেই কাণ্ডে জেলে ছিল শিবম। গত ৩০ নভেম্বর ছাড়া জামিনে ছাড়া পায় সে। অন্য দিকে, শুভম পলাতক ছিল। তরুণী পুলিশকে জানিয়েছিলেন, পাঁচ জনের মধ্যে শুভম ও শিবমও ছিল।
আরও পড়ুন: ‘বেত মারল, ছুরি চালাল, তার পর আমার গায়ে পেট্রল জ্বালাল’
আরও পড়ুন: আমার স্বামীকে যাঁরা খুন করেছেন, তাঁদেরও হত্যা করুন, বলছেন অভিযুক্তের স্ত্রী
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy