Advertisement
E-Paper

বিহারে নতুন করে ছড়াচ্ছে গোলমাল

বিহারে গোষ্ঠী সংঘর্ষ অব্যাহতই রয়েছে। অওরঙ্গাবাদ, নালন্দায় পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এলেও আজ নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে নওয়াদায়। সেখানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে শূন্যে গুলিও চালাতে হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০১৮ ০৩:৩০

বিহারে গোষ্ঠী সংঘর্ষ অব্যাহতই রয়েছে। অওরঙ্গাবাদ, নালন্দায় পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এলেও আজ নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে নওয়াদায়। সেখানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে শূন্যে গুলিও চালাতে হয়।

নওয়াদা শহরের গোন্দাপুর চকের কাছে আজ সকালে একটি মূর্তিকে দ্বিখণ্ডিত অবস্থায় পাওয়া যায়। তাকে কেন্দ্র করেই ছড়ায় উত্তেজনা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠী মুখোমুখি হয়ে প্রথমে একে অপরের বিরুদ্ধে স্লোগান তোলে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছয়। শুরু হয় একে অপরকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া। তার জেরে বেশ কিছু ট্রাক ও গাড়ির কাঁচ ভাঙে। এই সুযোগে একদল দুষ্কৃতী কয়েকটি দোকান ও বিদ্যুৎ দফতরের অফিসে আগুন ধরিয়ে দেয়। বিভিন্ন জায়গায় টায়ার জ্বালিয়ে শুরু হয় বিক্ষোভ।

উত্তেজিত জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য পুলিশ প্রথমে লাঠিচার্জ করে। পরে কাঁদানে গ্যাস ছুড়েও ফল না মেলায় শূন্যে ১০ রাউন্ড গুলি চালানো হয়। উত্তেজিত জনতা দুই চিত্রসাংবাদিকের ক্যামেরা ভাঙে। তবে অওরঙ্গাবাদ, সমস্তীপুর, মুঙ্গের এবং নালন্দায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে পুলিশ দাবি করেছে। সেখানে নতুন করে আর কোনও গোলমালের খবর নেই। তবে অওরঙ্গাবাদে পুলিশ হেফাজত থেকে কাল রাতে পালিয়ে গিয়েছে গোলমালে অভিযুক্ত এক বিজেপি কর্মী। তাঁর খোঁজে তল্লশি চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। অওরঙ্গাবাদ কাণ্ডে ১৪৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

তবে অওরঙ্গাবাদের ঘটনায় সাসারামের বিজেপি সাংসদ সুশীলকুমার সিংহের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। রামনবমীর পরের দিন শক্তি দেখাতে সাংসদ মিছিল করেছিলেন বলে অভিযোগ। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে এখনও এফআইআর হয়নি। পুলিশ জেলা বিজেপি মুখপাত্র উজ্জ্বল কুমার এবং আরজেডির জেলা যুব সভাপতি মহম্মদ ইউসুফ-সহ কিছু নেতার নামে এফআইআর করেছে। তবে এত দিন পর সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলেছে জেডিইউ। দলের সাধারণ সম্পাদক শ্যাম রজক বলেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী চৌবের ছেলে অর্জিত শাশ্বতর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোর্টের গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকা সত্ত্বেও পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করছে না। শাশ্বত জানান, তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন না।

এ দিনই রাজ্য জুড়ে অশান্তি ছড়ানোয় বিজেপি-আরএসএসকে দায়ী করেছে আরজেডি। বিহার বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব বলেন, ‘‘আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত রাজ্যে ১৪ দিন ছিলেন। কী ভাবে রামনবমীকে কেন্দ্র করে গোলমাল ছড়াতে হবে তার প্রশিক্ষণ তিনিই দিয়ে গিয়েছেন। এখন আমরা বুঝতে পারছি, কেন তিনি বিহারে এসেছিলেন।’’ বিজেপি এ নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

Bihar Unrest Group Clash Communal Clashes Video
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy