ফাইল চিত্র।
কৃষিবহুল পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে জাঠ সম্প্রদায়ের মন পেতে আজ জাঠ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন বিজেপি নেতা অমিত শাহ। আজ দিল্লিতে বিজেপি সাংসদ প্রবেশ বর্মার বাড়িতে ওই বৈঠক হয়। উপস্থিত ছিলেন জাঠ সম্প্রদায়ের শ’দুয়েক নেতা।
এ বারের ভোটে জাঠ নেতা তথা রাষ্ট্রীয় লোক দলের (আরএলডি) প্রধান জয়ন্ত চৌধরি হাত মিলিয়েছেন সমাজবাদী পার্টির (এসপি) অখিলেশ যাদবের সঙ্গে। আজকের বৈঠকের লক্ষ্য হল, কৃষক অসন্তোষের সুযোগ নিয়ে জাঠ ও সংখ্যালঘু ভোটকে একজোট করে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে ভাল ফল করা। তাই আরএলডি-এসপি জোট ভাঙতে শেষ বেলায় তৎপর হলেন অমিত শাহেরা। লক্ষ্য, জাঠ তথা হিন্দু ভোটে মেরুকরণ ঘটিয়ে কর্তৃত্ব বজায় রাখা। আজকের বৈঠকে যে বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে জাঠেদের সংরক্ষণ, কেন্দ্রীয় ও রাজ্য মন্ত্রিসভায় উপযুক্ত সংখ্যক জাঠ নেতার উপস্থিতি, আখের উপযুক্ত দাম নির্ধারণ, প্রাক্তন জাঠ নেতা চৌধরি চরণ সিংহকে ভারতরত্ন সম্মান প্রদান। বৈঠকের শেষে জাঠ নেতারা জানান, তাঁদের দাবিদাওয়ার ক্ষেত্রে সদর্থক মনোভাব দেখান শাহ।
সূত্রের মতে আজকের বৈঠকে অমিত জাঠ নেতাদের জানান, এসপি-আরএলডি জোটের নেতা অখিলেশ হলেও আগামী দিনে এই জোটের কর্তৃত্ব চলে যাবে আজ়ম সিংহের হাতে। যার ফলে ভবিষ্যতে ওই জোটকে নিয়ন্ত্রণ করবেন সংখ্যালঘু ওই বাহুবলী নেতা। রাজনীতির অনেকের মতে, আজ়ম খানের নাম করে আসলে ২০১৩-১৪ সালে মুজফ্ফরপুর দাঙ্গার স্মৃতি উস্কে দিতে চেয়েছেন অমিত। যেখানে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে আড়াআড়ি ভাবে ভাগ হয়ে গিয়েছিল জাঠ ও মুসলিমরা। তার জেরে ২০১৪ সালের লোকসভা ও ২০১৭-র বিধানসভায় বিপুল ভোটে জিতেছিল বিজেপি। আজকের বৈঠকের পরে বিজেপি সাংসদ প্রবেশ বলেন, দু’পক্ষের বৈঠক ইতিবাচক হয়েছে। আরএলডি নেতা জয়ন্ত ভুল পথে গিয়েছেন। কিন্তু হিন্দুত্বের প্রশ্নে জাঠ সমাজ বিজেপির সঙ্গেই ছিল, আগামী দিনেও থাকবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy