এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন ১৮ বছর বয়সি বোন। বোনের সেই প্রেমিককে পছন্দ ছিল না দাদার। তাই প্রথমে বোনের প্রেমিককে খুনের পর বোনকেও খুন করলেন যুবক। তা-ও রাখিবন্ধনের দিনেই!
রবিবার উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসি জেলার গরৌঠায় ঘটনাটি ঘটেছে। দাদার অমতে প্রেম করার ‘অপরাধে’ একসঙ্গে রাখিবন্ধন উদ্যাপনের পর ১৮ বছর বয়সি ওই তরুণীকে খুন করেছেন তাঁরই দাদা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবকের নাম অরবিন্দ। তাঁকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি, অরবিন্দের এক বন্ধু প্রকাশ প্রজাপতিকেও খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার দুপুরে চন্দ্রপুরা গ্রামে একটি নির্জন এলাকায় দাদা মহারাজ প্ল্যাটফর্মের কাছে কুমারী সহোদর ওরফে পুট্টির মৃতদেহ পাওয়া যায়। মৃতদেহের মাথা কামানো ছিল। উল্লেখ্য, এর মাত্র দিন তিনেক আগেই প্রায় একই ভাবে খুন হন পুট্টির প্রেমিক। গত ৭ অগস্ট গুধা গ্রামের কাছে ১৯ বছর বয়সি বিশালের মৃতদেহ মেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশালের সঙ্গে পুট্টির প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু সেই প্রেমে সম্মতি ছিল না পরিবারের। চার মাস আগে পুট্টি এবং বিশাল বাড়ি থেকে পালিয়েও যান। পরে তাঁদের কোনও মতে বুঝিয়েসুঝিয়ে ফিরে আসতে রাজি করানো হয়। দুই পরিবারের মধ্যে সাময়িক ভাবে পারস্পরিক মিটমাটও হয়ে যায়। কিন্তু কিছু দিন যেতে না যেতেই দু’জন ফের লুকিয়ে লুকিয়ে দেখা করা শুরু করলে নতুন করে অশান্তি বাধে দুই পরিবারে।
আরও পড়ুন:
গোটা বিষয়টি পুট্টির দাদা অরবিন্দের পছন্দ ছিল না। এর পরেই বোন এবং বোনের প্রেমিক— দু’জনকেই খুনের পরিকল্পনা করেন ওই যুবক। পুলিশ জানিয়েছে, গত ৭ অগস্ট সকালে বিশালকে চাকরি দেওয়ার অজুহাতে তুলে নিয়ে যান অরবিন্দ। এর পর গুধা গ্রামের কাছে তাঁকে খুন করে সেখানেই দেহটি ফেলে আসেন। পরে রাখিবন্ধনের দিন বোনকেও খুন করেন অরবিন্দ। জোড়া খুনের ওই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ইতিমধ্যে অভিযুক্ত ও তাঁর বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদও করছে পুলিশ। পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলা হচ্ছে।