পুলিশের ‘এনকাউন্টারে’ হত কুখ্যাত দুষ্কৃতী গুরফান। ছবি: সংগৃহীত।
সঙ্গীর ‘এনকাউন্টারের’ বদলা নিতে দুই পুলিশ আধিকারিককে খুনের ছক কষেছিলেন উত্তরপ্রদেশের কুখ্যাত দুষ্কৃতী গুরফান। পুলিশ সূত্রে এমনই দাবি করা হয়েছে। কিন্তু তার আগেই মঙ্গলবার সকালে সেই গুরফানই নিহত হন পুলিশের ‘এনকাউন্টারে’।
পুলিশ সূত্রে খবর, গুরফানের সঙ্গীর নাম তৌরিক। গুরফানের মতোই তাঁর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি ডাকাতির মামলা ছিল। তাঁর বিরুদ্ধে ১ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। কিন্তু কিছুতেই তাঁকে ধরতে পারছিল না পুলিশ। কিন্তু শেষমেশ ২০১৯ সালের ৭ জুন প্রতাপগড়ে তৌরিকের খোঁজ পায় এসটিএফ। তাঁকে গ্রেফতার করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াই হয়। সেই সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছিল তৌরিকের।
দলের এক ঘনিষ্ঠ সঙ্গীকে হারিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে বদলা নেওয়ার পরিকল্পনা করেন গুরফান এবং তৌরিকের ভাই জাইদ। পুলিশ সূত্রে খবর, জেলের মধ্যেই দুই পুলিশ আধিকারিককে হত্যার ছক কষেছিলেন এই দু’জন। কিন্তু সেই ছক ভেস্তে যায়।
গত ১৬ মে নিজেরই এক বন্ধু তনবীর আহমেদকে খুনের অভিযোগ ওঠে গুরফানের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার পর এসটিএফ এই মামলার দায়িত্ব নেয়। তার পর থেকেই গুরফানের খোঁজ চলছিল। প্রতাপগড় এবং সুলতানপুরে তাঁর বিরুদ্ধে ১৩টি খুন এবং বেশ কয়েকটি লুট এবং ডাকাতির মামলা ঝুলছিল। প্রয়াগরাজ এবং সুলতানপুর পুলিশ গুরফানের বিরুদ্ধে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল। মঙ্গলবার সকালে কৌশাম্বীতে পুলিশের ‘এনকাউন্টারে’ নিহত হন গুরফান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy