‘মুন্নি’ নামের জন্যই বদনাম হল! শ্রীঘরেও যেতে হল বিনা দোষে।
একই গ্রামের দুই মুন্নি। এক জন দাগি অপরাধী। অন্য জন ছাপোষা গৃহিণী। কিন্তু সেই নামের গেরোয় পড়ে এক জনের বদলে অন্য জনকে হাজতবাস করতে হল। ভুল বুঝতে পেরে পুলিশও ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টায় মরিয়া হয়ে উঠেছিল। অভিযোগ, তাদের এই ভুল যাতে সাংবাদমাধ্যমের কাছে না পৌঁছোয়, তার জন্য নিরাপরাধ মুন্নিকে শাসানোও হয়।
উত্তরপ্রদেশের বরেলীর ঘটনা। সেখানে বান্দিয়া গ্রামে দুই মুন্নি থাকেন। তাঁদের মধ্যে এক জন পুলিশের খাতায় ‘ওয়ান্টেড’। তিনি আবার ছোটে নামে এক দুষ্কৃতীর স্ত্রী। ২০২০ সালে স্থানীয় আদালত ছোটের স্ত্রী মুন্নির বিরুদ্ধে জামিন-অযোগ্য পরোয়ানা জারি করে। তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ চুরি-সহ একাধিক অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছিল।
গত ১৩ এপ্রিল মুন্নির খোঁজে বান্দিয়া গ্রামে পৌঁছোয় পুলিশ। কিন্তু নামবিভ্রাটের জেরে অভিযুক্ত মুন্নির বদলে নিরাপরাধ মুন্নির বাড়িতে হাজির হয় পুলিশ। মুন্নির স্বামী জানকীর হাতে সমন ধরিয়ে পুলিশ জানায় যে, মুন্নিকে গ্রেফতার করতে এসেছে তারা। কিসের সমন, কেনই বা এই সমন, মুন্নির অপরাধটাই বা কী করেছে, কোনও কিছু বুঝে উঠতে পারছিলেন না মুন্নি ও তাঁর পরিবার। মুন্নিকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। তাঁকে জেলেও রাখা হয় চার দিন। কিন্তু চার দিন পর পুলিশের বোধোদয় হয়। বুঝতে পারে যাঁকে তারা গ্রেফতার করেছে, তিনি মুন্নি হলেও ছোটের স্ত্রী মুন্নি নন। যে মুন্নির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে, তিনি বান্দিয়া গ্রামের বাসিন্দা হলেও পলাতক।
চার দিন পর ভুল বুঝতে পেরেই জানকী-পত্নী নিরাপরাধ মুন্নিকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। অভিযোগ, এই ভুল এবং বিনা অপরাধে মুন্নিকে হাজতবাস করানোর জন্য ক্ষমাও চায়নি পুলিশ। শুধু তা-ই নয়, এই খবর যাতে কোনও ভাবে বাইরে না যায়, তার জন্য মুন্নির পরিবারকে শাসানো হয় বলেও অভিযোগ। যদিও বিষয়টি চাপা থাকেনি। প্রকাশ্যে আসতেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।