কংগ্রেস বিধায়কের ইস্তফা। ছবি: সংগৃহীত।
রামমন্দির নিয়ে দলের ভূমিকায় তিনি খুশি নন। সারা দেশ যখন রামমন্দিরের উদ্বোধন এবং ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ নিয়ে মেতে, সেখানে এ বিষয়ে তাঁর দল যে পথে হাঁটছে, তা মোটেই মেনে নিতে পারছেন না। আর সে কারণেই দল থেকে ইস্তফা দিলেন কংগ্রেস বিধায়ক।
গুজরাতের কংগ্রেস বিধায়ক সি জে ছাবরা। বিজাপুর বিধানসভার তিন বারের বিধায়ক। শনিবার সকালে গান্ধীনগরে গিয়ে স্পিকার শঙ্ক চৌধরীকে ইস্তফা দিয়ে এসেছেন তিনি। রাজ্য বিধানসভা সূত্রে এমনই জানানো হয়েছে। কেন এই ইস্তফা, তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন বিধায়ক।
তাঁর কথায়, “২৫ বছর ধরে কংগ্রেসে ছিলাম। আজ আমি দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করলাম। সারা দেশ রামমন্দিরে ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ নিয়ে মেতে। আমজনতা সেই উচ্ছ্বাস গা ভাসিয়েছেন। কিন্তু সেখানে আমাদের দল সম্পূর্ণ বিপরীত পথে হাঁটছে! দলের এই ভূমিকায় আমি হতাশ। আর সে কারণেই আমার এই ইস্তফা।”
তবে শুধু রামমন্দির উদ্বোধন অনুষ্ঠান নিয়ে দলের ভূমিকায় তিনি যে ‘ক্ষুব্ধ’ এমনটা নয়। দলে থেকেও কাজ করার সুযোগ পাচ্ছিলেন বলেও অভিযোগ তুলেছেন বিধায়ক। তাঁর কথায়, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ যে সব কাজ এবং নীতি চালু করছেন, সেগুলি সমর্থন করা উচিত আমাদের। কিন্তু কংগ্রেসে থেকে আমি তাঁদের কাজের সমর্থন করতে পারছিলাম না। এটাও ইস্তফা দেওয়ার আরও একটি কারণ।”
ঘটনাচক্রে, বিধায়ক ছাবরার ইস্তফায় গুজরাতে কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা কমে দাঁড়াল ১৫। দল থেকে বিধায়কের ইস্তফার পরই জোর জল্পনা শুরু হয়েছে, তা হলে কি ছাবরা এ বার গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে চলেছেন? তাই রামমন্দির নিয়ে দলের ভূমিকাকে ‘বাহানা’ বানিয়ে ইস্তফা দিলেন? যদিও এ বিষয়ে কংগ্রেস এবং বিজেপি দুই শিবিরই নীরব।
ছাবরার আগেও আরও এক কংগ্রেস বিধায়ক দল ছেড়েছেন। তিনি খাম্বাতের বিধায়ক চিরাগ পটেল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy