Advertisement
E-Paper

আমেরিকার বাজারে দেশীয় পণ্যের রফতানিতে আঘাত স্পষ্ট হল, শুল্ক কোপে বস্ত্র, গহনার পাশাপাশি অন্য শিল্পে কোথায় প্রভাব কতটা?

গত জুলাই মাসে ভারতীয় পণ্যের উপর আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ২৫ শতাংশ করার কথা ঘোষণা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরে তা আরও বৃদ্ধি করে ৫০ শতাংশ করেন তিনি।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৭:৩৬
আমেরিকার বাজারে কমছে ভারতীয় পণ্যের রফতানি।

আমেরিকার বাজারে কমছে ভারতীয় পণ্যের রফতানি। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

শুল্ক সংঘাতের মাঝে ধাক্কা খেল আমেরিকার বাজারে দেশীয় পণ্যের রফতানি। গত চার মাসে ভারত থেকে আমেরিকায় বিভিন্ন পণ্যের রফতানি ২২.২ শতাংশ কমেছে। গত মে মাসে ৮৮০ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছিল। অগস্টে তা কমে হয়েছে ৬৯০ কোটি ডলার। বাণিজ্য পরামর্শদাতা সংস্থা গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ (জিটিআরআই)-এর সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে এমনটাই জানানো হয়েছে।

বস্তুত, শুল্ক নিয়ে গত কয়েক মাস ধরেই ভারত এবং আমেরিকার মধ্যে কূটনৈতিক চাপানউতর চলছে। গত জুলাই মাসে ভারতীয় পণ্যের উপর আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ২৫ শতাংশ করার কথা ঘোষণা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরে তা আরও বৃদ্ধি করে ৫০ শতাংশ করেন তিনি। শুল্কের কতটা প্রভাব পড়ছে দেশীয় পণ্যের রফতানি, তা সেপ্টেম্বর মাসে আরও স্পষ্ট হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। তবে জিটিআরআই-এর রিপোর্টের একটি উদ্বেগের কথাও তুলে ধরা হয়েছে। যে পণ্যগুলিতে আমেরিকা শুল্ক চাপায়নি, সেগুলির রফতানিও ধাক্কা খেয়েছে।

স্মার্টফোন, ওষুধ, পেট্রোপণ্যের মতো কিছু ক্ষেত্রে আমেরিকা শুল্ক চাপায়নি। তবে জিটিআরআই-এর রিপোর্টে বলা হচ্ছে, এই পণ্যগুলির রফতানিও ৪১.৯ শতাংশ কমে গিয়েছে। গত অগস্ট মাসে এই পণ্যগুলি ১৯৬ কোটি ডলারের রফতানি হয়েছে। এর মধ্যে শুধু স্মার্টফোন রফতানিই কমেছে প্রায় ৫৮ শতাংশ। মে মাসে প্রায় ২৩০ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছিল। অগস্টে তা কমে ৯৬ কোটি ৫০ লক্ষ ডলারে দাঁড়িয়েছে। ওষুধ রফতানিও কমেছে ১৩.৩ শতাংশ।

ধাক্কা খেয়েছে পোশাক এবং গহনা-মূল্যবান রত্নের রফতানিও। জিটিআরআই-এর রিপোর্ট অনুসারে, গত চার মাসে ভারত থেকে আমেরিকায় বস্ত্র রফতানি প্রায় ৯.৩ শতাংশ কমেছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র সুতির বস্ত্রের রফতানিই কমেছে প্রায় ৬৬.৭ শতাংশ। গহনা এবং রত্নের রফতানিও কমেছে প্রায় ৯.৩ শতাংশ। কেন এই পরিস্থিতি তৈরি হল, তা দ্রুত খতিয়ে দেখার দাবি জানিয়েছে জিটিআরআই। অন্য দিকে এই পরিস্থিতি থেকে উন্নতির জন্য বিভিন্ন শিল্প ক্ষেত্রকে আরও বেশি ভর্তুকি দেওয়ারও প্রস্তাব দিয়েছে তারা।

US Tariff Donald Trump Tariffs
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy