Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
Rahul Gandhi

Rahul Gandhi: রাহুলের মন্তব্য সমর্থন করি না, চিন-পাক সখ্য, মোদীর বিদেশনীতি নিয়ে বলল আমেরিকা

রাহুল বুধবার লোকসভায় অভিযোগ তোলেন, মোদী জমানায় বিদেশনীতির ভুলেই পাকিস্তান ও চিন এককাট্টা হয়েছে। ফলে চাপ বেড়েছে ভারতের উপরে।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১২:৩২
Share: Save:

মোদী সরকারের বিদেশনীতি চিন-পাকিস্তান সখ্য নিয়ে বুধবার সংসদে রাহুল গাঁধীর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাল আমেরিকা। বৃহস্পতিবার সে দেশের বিদেশ দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, ‘‘ভারতের বিদেশনীতি নিয়ে রাহুল গাঁধীর বক্তব্যকে আমেরিকা সমর্থন করে না।’’ কেন্দ্রের তরফেও রাহুলের মন্তব্যের বিরোধিতা করে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।

সংসদের বাজেট অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর ধন্যবাদজ্ঞাপক বক্তৃতা দেওয়ার সময় বুধবার লোকসভায় নিজেকে ‘জাতীয়তাবাদী’ বলে অভিহিত করে রাহুল অভিযোগ তোলেন, মোদী জমানায় বিদেশনীতির ভুলে পাকিস্তান ও চিন এককাট্টা হয়েছে। তাঁর দাবি, এত দিন ভারতের বিদেশনীতির মূল মন্ত্রই ছিল চিন ও পাকিস্তানকে আলাদা রাখা। এখন চিন ও পাকিস্তান এককাট্টা। এত দিন ভারতের দুই সীমান্তে দু’টি লড়াইয়ের ক্ষেত্র থাকলেও এখন সেটাই নিরবচ্ছিন্ন সীমান্তের লড়াই হয়ে উঠেছে। ভারত বিদেশনীতিতে একেবারে বিচ্ছিন্ন এবং সে কারণেই প্রজাতন্ত্র দিবসে কোনও বিদেশি রাষ্ট্রনেতাকে অতিথি হিসেবে পাওয়া যায়নি বলেও রাহুলের দাবি।

প্রাইস বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘আমেরিকার কৌশলগত সহযোগী দেশ পাকিস্তান। চিনের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কের বিষয়টি আমরা সংশ্লিষ্ট দুই দেশের উপরেই ছেড়ে দিতে চাই।’’ সাম্প্রতিক কালে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য থেকে তাইওয়ান সঙ্কটের মতো নানা বিষয়ে ওয়াশিংটন-বেজিং সঙ্ঘাত প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও আমেরিকার বিদেশ দফতরের মুখপাত্রের দাবি, ‘‘আমরা মনে করি, চিন এবং আমেরিকার মধ্যে কোনও একটিকে বন্ধু হিসেবে বেছে নেওয়া কোনও দেশের কাছেই বাধ্যতামূলক নয়।’’ কূটনৈতিক মহলের একাংশের মতে নয়াদিল্লির ধারাবাহিক বিরোধিতা সত্ত্বেও জো বাইডেন সরকার যে ইসলামাবাদের পাশেই থাকবে, প্রাইসের বক্তব্যে তা স্পষ্ট।

প্রসঙ্গত, লোকসভায় রাহুলের বক্তৃতার পরেই কেন্দ্রের তরফে ‘জবাব’ দিয়েছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। রাহুলকে ‘ইতিহাসের পাঠ’ নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। জয়শঙ্কর বলেন, ‘‘১৯৭০ সালে চিন, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে কারাকোরাম হাইওয়ে তৈরি করেছিল। তখন থেকেই দু’দেশের মধ্যে পরমাণু সমঝোতা চলছে। ২০১৩ তে চিন-পাকিস্তান আর্থিক করিডরের কাজ শুরু হয়েছে। তা হলে নিজেকে প্রশ্ন করুন, চিন-পাকিস্তানের মধ্যে কি তখন দূরত্ব ছিল?’’ প্রজাতন্ত্র দিবসে বিদেশি অতিথির ‘অভাব’ প্রসঙ্গে রাহুলের অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘ভারতে যাঁরা থাকেন, সকলেই জানেন, করোনার ঢেউ চলছে। মধ্য এশিয়ার যে পাঁচটি দেশের প্রেসিডেন্টের ভারতে আসার কথা ছিল, তাঁরা ২৭ জানুয়ারি ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগ দিয়েছেন। রাহুল কি এটাও জানেন না?’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE