ভারতবাসীর মধ্যে ‘সহিষ্ণুতা’ বাড়াতে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে প্রায় পাঁচ লক্ষ ডলার অনুদান দিতে চায় আমেরিকা। বৃহস্পতিবার মার্কিন বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে এ কথা। তাদের বক্তব্য, ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতা বাড়াতেই এই পদক্ষেপ।
এ খবর জানাজানি হতেই বিতর্ক বেঁধেছে। দিল্লির তরফে গোটা বিষয়টি বিশদে জানতে চাওয়া হয়েছে মার্কিন প্রশাসনের কাছে। তাদের দাবি, এ ধরনের যে কোনও কাজ করতে হলে দেশের নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে। চাইলেই করা যাবে না। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার বলেন, ‘‘আমরা রিপোর্টটি দেখেছি। আরও বিশদে জানতে চাওয়া হয়েছে।’’ তিনি জানান, যথেষ্ট তথ্য হাতে না এলে আর কোনও মন্তব্য করা সম্ভব নয়।
মার্কিন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র জানান, অনুদানের জন্য আবেদনকারী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির পরিকল্পনা খতিয়ে দেখে যোগ্যকে বেছে নেওয়া হবে। তবে অনেকের মতেই ‘সহিষ্ণুতা’র প্রসঙ্গ তুলে এ আসলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অস্বস্তিতে ফেলার চেষ্টা। সম্প্রতি জেনিভায় রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার পরিষদের বৈঠকে প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন মোদী। জবাবে বলেছিলেন, ‘‘জাতি, ধর্ম, বর্ণের ভিত্তিতে কোনও বিভেদ করে না ভারত।’’ যদিও হিংসা ও অসহিষ্ণুতার তালিকা ক্রমেই দীর্ঘতর হচ্ছে ভারতে।