—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আত্মীয়ের বাড়ি গিয়ে শুনতে হল ‘চোর’ অপবাদ। শুধু তা-ই নয়, মারধরের চোটে প্রথমে সংজ্ঞাহীন, পরে মৃত্যু হল ২২ বছরের এক তরুণীর। এমনটাই ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে। এই ঘটনায় মোট আট জনকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত তরুণীর নাম সামিনা। গত মঙ্গলবার তিনি এক আত্মীয়ের বাড়ি জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। রমেশ নামের এক ব্যক্তি এবং তাঁর স্ত্রী হিনার ছেলের জন্মদিনের অনুষ্ঠান ছিল সে দিন। অনুষ্ঠান চলাকালীন হঠাৎই শোরগোল পড়ে যায় যে, বাড়ি থেকে চার লক্ষ টাকার গয়না উধাও হয়ে গিয়েছে। রমেশ প্রথমে তাঁর স্ত্রী হিনাকেই সন্দেহ করেন। পরে তাঁর সামিনার উপরে সন্দেহ হয়। অভিযোগ যে, সামিনার মুখ থেকে কথা বার করার জন্য প্লাস্টিকের পাইপ, বেত দিয়ে তাঁকে বেদম মারধর করা হয়। এমনকি ব্লেড দিয়ে চিরে দেওয়া হয় শরীরের নানা অংশও।
সেই মারের চোটেই জ্ঞান হারান সামিনা। পরে তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। মারধর থেকে রেহাই পাননি সামিনার সঙ্গে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যাওয়া তাঁর বোনঝি এবং গাড়ির চালকও। গাজিয়াবাদ (গ্রামীণ) পুলিশ কমিশনারেটের তরফে জানানো হয়েছে, একটি বাড়িতে সারা রাত ধরে গান বেজে যাচ্ছে বলে থানায় একাধিক অভিযোগ এসেছিল। সেই সূত্র ধরেই ওই বাড়িতে গিয়ে সামিনার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয় আরও দু’জনকে। তবে সামিনার বোনঝি এবং গাড়ির চালক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, সামিনার কান্নার আওয়াজ লুকোনোর জন্য প্রচণ্ড জোরে সাউন্ডসিস্টেম বাজানো হয়েছিল। মারের চোটে সামিনা লুটিয়ে পড়ার পরে গান চালিয়েই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান অভিযুক্তেরা।
গাজিয়াবাদ পুলিশের এসিপি রবি কুমার এই ঘটনা প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, সামিনার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। আট জন অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy