ভিএইচপি-র দাবি, স্কুলের প্রার্থনায় ইকবালের কবিতার মাধ্যমে হিন্দুদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত হেনেছেন শিক্ষক। ছবি: টুইটার।
উত্তরপ্রদেশের একটি সরকারি স্কুলে প্রার্থনার সময় পড়ুয়াদের ইকবালের কবিতার লাইন গাইতে দেওয়ায় এক পার্শ্বশিক্ষককে গ্রেফতার করল পুলিশ। শনিবার এই ঘটনায় অভিযুক্তের গ্রেফতারির পর তাঁকে ছাঁটাই করেছে বুনিয়াদী শিক্ষা দফতর। পাশাপাশি, ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষককে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
বরেলীর পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) রাজকুমার আগরওয়ালের দাবি, ফরিদপুরের একটি উচ্চ প্রাথমিক স্কুলে ‘মাদ্রাসার মতো প্রার্থনাসঙ্গীত’ গেয়েছে পড়ুয়ারা। এই ঘটনায় পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি)-র স্থানীয় শাখার সভাপতি সোমপাল রাঠৌর। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে স্কুলের পার্শ্বশিক্ষক ওয়াজিরুদ্দিন এবং প্রধান শিক্ষক নাহিদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে বুধবার এফআইআর করা হয়েছে। শনিবার ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করে জেলে পোরা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার। তাঁর কথায়, ‘‘হিন্দুদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে ‘শিক্ষামিত্র’ ওয়াজিরুদ্দিনকে শনিবার গ্রেফতার করা হয়েছে।’’
বরেলীর বুনিয়াদী শিক্ষা দফতরের আধিকারিক বিনয় কুমার জানিয়েছেন, ওই প্রার্থনাসঙ্গীতের ভিডিয়োটি ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের দিয়ে যাচাই করানো হবে। সেই সঙ্গে ওয়াজিরুদ্দিন এবং নাহিদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হয়েছে।
ওই ভিডিয়োটিতে পড়ুয়াদের মুখে উর্দু কবি ইকবালের কবিতার লাইন শোনা গিয়েছে— ‘মেরে আল্লা বুরাই সে বচানা মুঝকো, নেক যো রাহ হো উস রাহ পে চলানা মুঝকো।’ যদিও ভিএইচপি-র দাবি, স্কুলের প্রার্থনায় এই কবিতার মাধ্যমে হিন্দুদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত হেনেছেন ওয়াজিরুদ্দিন। এমনকি, স্কুলপড়ুয়াদের ধর্মান্তরণেরও চেষ্টা করছেন তিনি। এই ঘটনায় শুক্রবার স্কুলের কর্মীদের বয়ান রেকর্ড করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy