Advertisement
E-Paper

হিমবাহের শেষ প্রান্তে ধসেই বিপর্যয়: অমিত শাহ

নন্দাদেবী হিমবাহে ৫৬০০ মিটার উচ্চতায় একটি ধসের ফলেই উত্তরাখণ্ডে সাম্প্রতিক হড়পা বান হয়েছে বলে সংসদে জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৬:৫৬
নিথর: উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ধসে আটক এক ব্যক্তির মৃতদেহ। মঙ্গলবার চামোলীতে। ছবি: পিটিআই

নিথর: উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ধসে আটক এক ব্যক্তির মৃতদেহ। মঙ্গলবার চামোলীতে। ছবি: পিটিআই

নন্দাদেবী হিমবাহে ৫৬০০ মিটার উচ্চতায় একটি ধসের ফলেই উত্তরাখণ্ডে সাম্প্রতিক হড়পা বান হয়েছে বলে সংসদে জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

আজ সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ৭ ফেব্রুয়ারি ‘প্ল্যানেট ল্যাব’ উপগ্রহ থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গিয়েছে নন্দাদেবী হিমবাহের শেষ প্রান্তে একটি ধস নেমেছিল। তার ফলেই তুষারধস এসে ঋষিগঙ্গা নদীতে পড়ে। বিশেষজ্ঞ সুরুচি ভাদোল গত কালই জানান, হিমবাহের উপরে ক্রমাগত নজরদারি করা একান্ত প্রয়োজন। কারণ এই ধরনের ঘটনা আরও ঘটার সম্ভাবনা আছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, ওই বিপর্যয়ে এখনও পর্যন্ত ২০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১৯৭ জন নিখোঁজ। তাঁদের মধ্যে ১৩৯ জন এনটিপিসি-র নির্মীয়মাণ প্রকল্পের কর্মী, ঋষিগঙ্গা প্রকল্পের ৪৬ জন কর্মী ও ১২ জন গ্রামবাসী। তবে শাহ জানান, এই তথ্য উত্তরাখণ্ড সরকার বিভিন্ন সূত্র থেকে সংগ্রহ করেছে। ফলে মৃত বা নিখোঁজের সংখ্যার পরিবর্তন হতে পারে।

শাহ জানান, এনটিপিসি-র প্রকল্প থেকে ১২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। ঋষিগঙ্গা প্রকল্প থেকে উদ্ধার হয়েছেন ১৫ জন। এনটিপিসি-র অন্য একটি প্রকল্পে সুড়ঙ্গের মধ্যে ২৫-৩০ জন কর্মী এখনও আটকে রয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তাঁদের উদ্ধারের জন্য যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করছেন উদ্ধারকারীরা। প্রধানমন্ত্রী নিজে পরিস্থিতির উপরে নজর রাখছেন। রাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দুটি কন্ট্রোল রুম।

স্থানীয় সূত্রে খবর, আরও পাঁচ জনের দেহ উদ্ধার হওয়ায় বিপর্যয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১ জনে। এনটিপিসি-র তপোবন প্রকল্পে সুড়ঙ্গে আটকে পড়া কর্মীদের সম্পর্কে তথ্য পেতে ড্রোন ব্যবহার করছেন উদ্ধারকারীরা। এরই মধ্যে সামনে এসেছে ৬৫ বছর আগের এক পরমাণু শক্তিচালিত যন্ত্র নিয়ে আশঙ্কার কথা। চামোলীর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত রেনি গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ জানাচ্ছেন, ১৯৬৫ সালে চিনের উপরে নজরদারি করার জন্য নন্দাদেবী শৃঙ্গে পরমাণু শক্তিচালিত নজরদারি যন্ত্র বসাতে অভিযান চালিয়েছিল আমেরিকা ও ভারতের গুপ্তচর সংস্থা। কিন্তু তুষারঝড়ের ফলে সেই যন্ত্র নন্দাদেবীতেই রেখে আসতে বাধ্য হন অভিযাত্রীরা। পরে অভিযান চালিয়েও তার আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। রেনি ও তার পাশের গ্রাম জুগজুর বাসিন্দাদের একাংশ জানিয়েছেন, রবিবার প্লাবনের সময়ে প্রবল পচা গন্ধ পেয়েছেন তাঁরা। তাঁদের মতে, ধসের সময়ে কেবল পাথর ও বরফ পড়লে এমন গন্ধ পাওয়া যেত না। ওই গ্রামবাসীদের আশঙ্কা, পরমাণু শক্তিচালিত ওই যন্ত্রের তেজস্ত্রিয়তার ফলেও দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।

flood Uttarakhand
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy