প্রকাশ্যে এসে পড়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে তাঁর সংঘাত। যার জেরে প্রসার ভারতীর সিইও পদে মেয়াদ ফুরনোর চার মাস আগেই ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছেন। সরকারি ভাবে আজ, বৃহস্পতিবারই শেষ বার অফিসে আসবেন জহর সরকার। তার আগে বুধবার এই বাঙালি আমলার বিদায়ী সভায় যাবতীয় তিক্ততা দূরেই রাখতে চাইলেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নায়ডু। বললেন, ‘‘জহরবাবুর মতন এবং বিদ্বান এবং অভিজ্ঞ ব্যক্তির কোনও অবসর হয় না। আমি চাই তিনি তাঁর বিপুল অভিজ্ঞতা সমাজের বিভিন্ন স্তরে ভাগ করে নিন। এতে মানুষের উপকারই হবে।’’ মন্ত্রক সূত্রের খবর, ৪২ বছরের কর্মজীবন নিয়ে জহরবাবুকে বই লেখার পরামর্শও দিয়েছেন মন্ত্রী। দূরদর্শনের সিরিয়াল নিয়ে দুর্নীতির তদন্তের নির্দেশ দিয়েই তৎকালীন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরের বিরাগভাজন হন জহরবাবু। সিবিআই ১৭ জনকে গ্রেফতার করে। সূত্রের দাবি, এর পরেই কোণঠাসা করে ফেলা হয় জহরবাবুকে। তা ছাড়া, সঙ্ঘ-ঘনিষ্ঠ এক সাংবাদিককে প্রসার ভারতীয় চেয়ারম্যান পদে বসিয়ে বিজেপি সরকার রেডিও-টিভিতেও গৈরিকীকরণের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। তবে এখন আর সে সব মনে রাখতে চান না জহরবাবু। শুক্রবার চলে যাবেন কলকাতায়। গোটা জীবন স্পষ্ট কথা বলারই খেসারত দিয়েছেন বলে জানিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘‘তবু মাথা উঁচু করে বিদায় নিতে পারছি, এটাই বড় কথা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy