Advertisement
E-Paper

সরব বেঙ্কাইয়া, কেশরীনাথও

বিজেপি নেতারা তো বটেই, উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডু থেকে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী— সাংবিধানিক পদে আসীন ব্যক্তিরাও এ দিন সরব হন জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০১৮ ০৪:০২
বেঙ্কাইয়া ও কেশরীনাথ।ফাইল চিত্র।

বেঙ্কাইয়া ও কেশরীনাথ।ফাইল চিত্র।

সমালোচনা আগেও হয়েছে। তবে আজ যেমনটি দেখা গেল— জরুরি অবস্থা নিয়ে এত চর্চা গত কয়েক বছরের মধ্যে দেখা যায়নি! বিজেপি নেতারা তো বটেই, উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডু থেকে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী— সাংবিধানিক পদে আসীন ব্যক্তিরাও এ দিন সরব হন জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে।

নয়াদিল্লিতে বেঙ্কাইয়া হাজির হয়েছিলেন ‘জরুরি অবস্থা: ভারতীয় গণতন্ত্রের তামস প্রহর’ নামে প্রসার ভারতীর প্রাক্তন চেয়ারম্যান সূর্যপ্রকাশের বইয়ের বিভিন্ন ভাষার সংস্করণ প্রকাশের অনুষ্ঠানে। সেখানে উপরাষ্ট্রপতি প্রস্তাব দেন, ওই অন্ধকার পর্বের কথা স্কুলের পাঠ্যবইয়ের অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। আর কলকাতায় আজ ‘জরুরি অবস্থা: অন্ধকার সময়’ নামে ছ’পাতার একটি বিবৃতি প্রকাশ করেন কেশরীনাথ। যেখানে জরুরি অবস্থার মধ্যে নিপীড়নের বিবরণ দিয়েছেন তিনি। ১৯৭৫ সালে ১২ জুনের পরে কী ভাবে আরএসএস, জনসঙ্ঘ, সমাজবাদী পার্টি ও অন্য কংগ্রেস-বিরোধী দলের লোকজনকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে, সঙ্ঘ-চালিত স্কুল সরকার নিজের হাতে নিয়েছে, মানুষের মনে আতঙ্ক তৈরি করা হয়েছে, সে সব সবিস্তার তুলে ধরেছেন কেশরীনাথ। সব শেষে লিখেছেন, জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের পরে মানুষই ইন্দিরা গাঁধীকে ক্ষমতাচ্যুত করেন।

জরুরি অবস্থার নিন্দার মধ্যে অস্বাভাবিকতা কেউ দেখছেন না। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, ৪৩ বছর আগের সময়টা নিয়ে এ বছরই কেন এত সরব বেঙ্কাইয়া বা কেশরীনাথরা?

লোকসভা ভোট সামনে। তার আগে জরুরি অবস্থার কথা তুলে বিজেপি আজ তুলোধনা করেছে কংগ্রেস ও তার সভাপতি রাহুল গাঁধীকে। পাল্টা কংগ্রেসও অঘোষিত জরুরি অবস্থা চলছে বলে আক্রমণ শানিয়েছে। কিন্তু সাংবিধানিক পদে আসীন ব্যক্তিরাও এ বছর সরব হওয়ায় মধ্যে রাজনীতির গন্ধ দেখছেন অনেকে। কারণ, বেঙ্কাইয়া ও কেশরীনাথ, সঙ্ঘ-ঘনিষ্ঠ দু’জনেই এক সময়ে ছিলেন বিজেপিতে।

Venkaiah Naidu Keshari Nath Tripathi Emergency Congress বেঙ্কাইয়া নায়ডু কেশরীনাথ ত্রিপাঠী
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy