একটি সাক্ষাৎকারের ভিডিয়ো নিয়ে দিনভর দড়ি টানাটানি। বারংবার তর্জমা। ঘটনার কেন্দ্রে ইউপিএ-র শরিক নেতা শরদ পওয়ার।
মরাঠি চ্যানেলকে দেওয়া পওয়ারের একটি সাক্ষাৎকারের অংশ সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরে বিজেপির দাবি, রাফাল-চুক্তি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ‘সন্দেহের ঊর্ধ্বে’ রেখেছেন এনসিপি প্রধান। অমিত শাহ টুইট করেছেন, ‘প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং প্রবীণ সাংসদ শরদ পওয়ারকে ধন্যবাদ। তিনি দেশের স্বার্থকে দলীয় রাজনীতির ঊর্ধ্বে রেখে সত্যি কথাটা বলেছেন। প্রিয় রাহুল গাঁধী, অন্তত নিজের শরিক দল এবং পওয়ার সাহেবের কথা বিশ্বাস করে আপনি কি আর একটু বিজ্ঞ হবেন?’ বিজেপির দাবি, রাফাল-প্রসঙ্গে পওয়ার বলেছেন, ‘‘মনে হয় না, নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশ্য নিয়ে মানুষের কোনও সন্দেহ আছে।’’ রাফাল যুদ্ধবিমানের প্রযুক্তিগত দিকটি বিস্তারিত জানতে চেয়ে বিরোধীদের দাবিও ‘অর্থহীন’ বলে মন্তব্য করেছেন এনসিপি প্রধান। অবশ্য এ-ও বলেছেন যে, প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামন যে ভাবে সরকারের যুক্তি পেশ করেছেন, তাতে আরও বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।
রাহুল গাঁধী যখন রাফাল-দুর্নীতির অভিযোগে মোদীকে নিরন্তর বিঁধছেন, সেই সময়ে পওয়ারের এই মন্তব্যে অস্বস্তিতে পড়ে যায় কংগ্রেস। এআইসিসি থেকে ফোনে যোগাযোগ করা হয় এনসিপি নেতৃত্বের সঙ্গে। তার পরেই মহারাষ্ট্রে সাংবাদিক সম্মেলন করে এনসিপি। সেখানে দাবি করা হয় যে, বিজেপি পওয়ারের কথাকে বিকৃত করেছে। ওই সাক্ষাৎকারের একটি ইংরেজি অনুবাদও প্রকাশ করে তারা। কিন্তু বিজেপিও সাক্ষাৎকারটির হিন্দি অনুবাদ প্রকাশ করে নিজেদের পুরনো দাবিরই পুনরাবৃত্তি করে।
কংগ্রেস নেতারা মানছেন, পওয়ার ইউপিএ-র শরিক হলেও নানা সময়ে অস্বস্তির কারণ হয়ে ওঠেন। তাঁর সঙ্গে মোদীর সম্পর্ক ভাল। গুজরাতে রাজ্যসভার নির্বাচনের সময়েও আহমেদ পটেলকে জেতাতে পওয়ারের পুরো সমর্থন মেলেনি। এখন যদিও মহারাষ্ট্রে দুই দলের সমঝোতা হচ্ছে। তার মধ্যেই এই বিতর্ক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy