কাশ্মীর উপত্যকায় জঙ্গি কার্যকলাপ রুখতে এ বার আরও সতর্ক ভারতীয় সেনা। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে গ্রামীণ নিরাপত্তাকর্মীদের (ভিলেজ ডিফেন্স গার্ড)। এই কর্মশালার মূল লক্ষ্য, গ্রামবাসীদের আরও সচেতন করে আঞ্চলিক স্তরে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা। প্রায় ৬০০ গ্রামীণ নিরাপত্তাকর্মীকে স্বয়ংক্রিয় রাইফেলের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে বলে সূত্রের দাবি।
উল্লেখ্য, কাশ্মীর উপত্যকায় আঞ্চলিক স্তরে গ্রামে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করতে গ্রাম নিরাপত্তাকর্মীর পদ তৈরি করা হয়েছিল। নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে কাশ্মীরে চলে আসছিল ‘ভিলেজ ডিফেন্স কমিটি’। ২০২২ সালের অগস্টে সরকারি ভাবে ‘ভিলেজ ডিফেন্স গার্ড’ পদ তৈরিতে অনুমোদন দেওয়া হয়। এই দলের সদস্যরা সরাসরি সরকারি কর্মী নন, তবে সরকার থেকে পারিশ্রমিক পান। জঙ্গি কার্যকলাপ ঠেকাতে তাঁদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্রও দিয়েছে সরকার। সম্প্রতি তাঁদের পুরনো অস্ত্র বদলে সেমি অটোমেটিক রাইফেলও দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বার তাঁদের নতুন অস্ত্রে প্রশিক্ষণের জন্য কর্মশালারও আয়োজন করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:
‘ভিলেজ ডিফেন্স গার্ড’-এর প্রতিটি দলকে অন্তত তিন দিনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হচ্ছে গ্রাম লাগোয়া অঞ্চলেই। যাতে বাস্তব পরিস্থিতিতে কী করণীয়, কী ভাবে জঙ্গি কার্যকলাপ ঠেকাতে হবে, তা সহজে রপ্ত করতে পারেন গ্রামীণ নিরাপত্তাকর্মীরা। সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত রাজৌরিতে প্রায় ৫০০ গ্রামীণ নিরাপত্তাকর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ডোডা ও কিস্তওয়ার এলাকায় আরও প্রায় ৮০-৯০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সাম্প্রতিক অতীতে জম্মু ও কাশ্মীরে একাধিক সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের খবর মিলেছে। সামনেই কাশ্মীরে বিধানসভা ভোট। এই আবহে কাশ্মীরে জঙ্গি কার্যকলাপ রুখতে ‘ভিলেজ ডিফেন্স গার্ড’-এর দলগুলিকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দিচ্ছে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ ও ভারতীয় সেনা।