Advertisement
০২ মে ২০২৪

পুলিশ সতর্ক, দোকান খুলছে কাসগঞ্জে

শহরের শান্তি কমিটি ও বিভিন্ন নাগরিক সংগঠনের নেতাদের নিয়ে রবিবার বৈঠকে বসেছিল পুলিশ। সেখানে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা আশ্বাস দেন, হাঙ্গামাকারীদের কাউকে রেয়াত করা হবে না।

গোষ্ঠীসংঘর্ষের জেরে উত্তপ্ত কাসগঞ্জ। ছবি:ফেসবুকের সৌজন্যে।

গোষ্ঠীসংঘর্ষের জেরে উত্তপ্ত কাসগঞ্জ। ছবি:ফেসবুকের সৌজন্যে।

সংবাদ সংস্থা
কাসগঞ্জ শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:১৫
Share: Save:

গোষ্ঠীসংঘর্ষের জেরে কাসগঞ্জ যাতে গোরক্ষপুর হতে না-পারে, সে জন্য গোড়াতেই তৎপর হয়েছে উত্তরপ্রদেশের প্রশাসন। আগরার এডিজি অজয় আনন্দ জানিয়েছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু উত্তেজনা পুরোপুরি প্রশমিত হয়নি। কিন্তু কাসগঞ্জের বাসিন্দারা সতর্ক থাকায় শীঘ্রই শহরে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরবে বলে আশা করা হচ্ছে।

শহরের শান্তি কমিটি ও বিভিন্ন নাগরিক সংগঠনের নেতাদের নিয়ে রবিবার বৈঠকে বসেছিল পুলিশ। সেখানে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা আশ্বাস দেন, হাঙ্গামাকারীদের কাউকে রেয়াত করা হবে না। তার পর এ দিনই শহরের বেশ কিছু এলাকায় দোকানপাট খুলেছে। ঠিক হয়েছে সোমবার থেকেই কাসগঞ্জের বাজার-দোকান পুরোপুরি খুলবে। পুলিশের আশা, তার পরই ধীরে ধীরে কাসগঞ্জ স্বাভাবিক হবে। পুলিশ কর্তারা জানাচ্ছেন, শহরের বাসিন্দারা প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করছেন। বৈঠকে তাঁরা অভিযোগ করেছেন, বাইরের অপরিচিত লোকেরাই হামলার সঙ্গে যুক্ত। ফের যাতে হাঙ্গামা না-ঘটে, তার জন্য বাসিন্দাদেরও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

গুজব ছড়ানো রুখতে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় মোবাইল ইন্টারনেট শনিবার থেকেই বন্ধ রাখা হয়েছে। প্রশাসন জানিয়েছে, এখনই তা চালু হচ্ছে না।

২০০৭-এর জানুয়ারিতে একটি ছোট ঘটনা দিয়ে গোরক্ষপুরে উত্তেজনা শুরু হয়েছিল। অভিযোগ, প্রশাসনিক ঢিলেমির সুযোগে কয়েক দিন পরে তা ছড়িয়ে পড়ে বিস্তীর্ণ এলাকায়। প্রায় তিনশো দোকান ও বাড়িঘর ভাঙচুর হয়। হতাহত হন অনেকে। কাসগঞ্জে তাই গোড়া থেকেই সতর্ক প্রশাসন। কাসগঞ্জে হাঙ্গামার বিচারবিভাগীয় তদন্ত চেয়েছে কংগ্রেস।

শুক্রবার একটি মোটরসাইকেল মিছিলকে ঘিরে গন্ডগোলের সূত্রপাত। কিছু লোক মিছিলে ইট-পাথর ছুড়তে শুরু করলে এক কিশোর মারা যায়। তার পরই হাঙ্গামা ছড়িয়ে পড়ে।
পুলিশ কার্ফু জারি করার পরেও শনিবার দু’টি বাস, একটি মোটরগাড়িতে আগুন দেয় কিছু দুষ্কৃতী। ভাঙচুর করা হয় কয়েকটি দোকানও। পুলিশ অন্তত ১১২ জনকে গ্রেফতার করেছে। আলিগড়ের ডিভিশনাল কমিশনার সুভাষচন্দ্র শর্মা জানিয়েছেন, হামলাকারীদের চিহ্নিত করতে সিসিটিভির ফুটেজ দেখা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE