প্রতীকী চিত্র
গুজরাতে এক মহিলা দন্ত চিকিত্সকের বিরুদ্ধে বিষ দিয়ে তাঁর ভাই ও ভাইয়ের ১৪ মাসের শিশু কন্যাকে খুন করার অভিযোগ উঠল। পরিবারের লোকেরা তাঁকে গুরুত্ব দেয় না, সেই রাগেই তিনি এই কাজ করেছেন বলে পুলিশি জেরায় জানিয়েছেন ওই চিকিৎসক।
হীনমন্যতা মানুষকে কোন জায়গায় নিয়ে যেতে পারে, তার উদাহরণ হয়ে থাকবেন গুজরাতের ওই মহিলা দন্ত চিকিত্সক কিন্নরী পটেল। পরিবারের সঙ্গেই গুজরাতের আমদাবাদে বসবাস করেন বছর আঠাশের কিন্নরী। ছোটবেলা থেকে তাঁর মনে হত, পরিবারের সদস্যরা তাঁকে ঠিক মতো গুরুত্ব দেন না। তাই প্রচণ্ড হীনমন্যতায় ভুগতেন তিনি।
গত মে মাসের ৩০ তারিখ অসুস্থ হয়ে পড়ে কিন্নরীর ১৪ মাসের ভাইঝি মাহি। তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্সকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে ৫ জুন একই ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন কিন্নরীর ভাই জিগর পটেল। তাঁকেও হাসপাতালে নিয়ে গিলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। কিন্তু অদ্ভুতভাবে তাঁদের মৃত্যুতে কোনও শোক দেখা যায়নি কিন্নরীর মধ্যে। যা অস্বাভাবিক ঠেকে পরিবারের কাছে। পবিরারের সদস্যরা প্রশ্ন করেন কিন্নরীকে। টানা জিজ্ঞাসাবাদের মুখে ভাই ও ভাইঝিকে বিষ দেওয়ার কথা স্বীকার করেন। এরপরেই পুলিশে খবর দেন কিন্নরীর বাবা। গ্রেফতার হন কিন্নরী পটেল।
আরও পড়ুন : লন্ডনে হবে বিশ্বের প্রথম ‘৩৬০ ডিগ্রি সুইমিং পুল’
আরও পড়ুন : হিমশৈলের মধ্যে ‘সুইমিং পুল’, অবাক করল প্রকৃতি
পুলিশের তদন্তে জানা গিয়েছে, প্রায় ২৫ দিন ধরেই জিগর ও তার মেয়ের পানীয় জলে বিষ মেশাচ্ছিলেন কিন্নরী। মাহি ও জিগরের মারা যাওয়ার দিন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগে তাদের মুখে সায়ানাইড দিয়ে দেন ওই মহিলা দন্ত চিকিত্সক।
কিন্নরীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত করছে আমদাবাদের পাটন থানার পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy