গীতা কালের ভিজিটিং কার্ড। ছবি ফেসবুক থেকে সংগৃহীত।
মহারাষ্ট্রের পুণের বাভধন এলাকায় লোকের বাড়িতে কাজ করেন গীতা কালে। সম্প্রতি তাঁর ভিজিটিং কার্ড ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে। তার পরই রাতারাতি বিখ্যাত হয়েছেন ‘ঘর কাম মসি ইন বাভধন’।
ভাইরাল হওয়া সেই কার্ডে লেখা রয়েছে গীতার নাম ও ফোন নম্বর। তার নীচে লেখা রয়েছে কাজের বিবরণ ও প্রতি মাসে সেই কাজের রেট। যেমন, ঝাড়ু-পোছা, কাপড়ে ধোনা-র মতো কাজের জন্য প্রতি মাসে ৮০০ টাকা নিয়ে থাকেন গীতা। সেখানে রুটি তৈরির জন্য নেন মাসে এক হাজার টাকা। টাকার বিনিময়ে অন্যান্য গৃহস্থালির কাজও করতে প্রস্তুত গীতা।
তবে গীতার ইন্টারনেট সেনসেশন হওয়ার পিছনে অবদান রয়েছে ধনশ্রী শিন্ডের। ধনশ্রীর বাড়িতে কাজ করেন গীতা। একদিন অফিস থেকে ফিরে ধনশ্রী দেখলেন মনমরা হয়ে বসে আছেন গীতা। কারণ, গীতার একটি বাড়ির কাজ চলে গিয়েছে। যার জেরে তাঁর মাসে চার হাজার টাকা রোজগার কমে গিয়েছে। সেই শুনে নিজের ব্র্যান্ডিং স্কিলকে কাজে লাগিয়ে ভিজিটিং কার্ডের নকশা বানিয়ে দেন ধনশ্রী। ১০০টি কার্ডও ছাপিয়ে আনেন। আর তাঁর আবাসনের নিরাপত্তারক্ষীর সহায়তায় ভাবধন এলাকায় ছড়িয়ে দেন সেই কার্ড।
ছবি-সহ এই ঘটনার কথা সম্প্রতি নিজের ফেসবুক পোস্টে শেয়ার করেছেন অস্মিতা জাভড়েকর নামের এক মহিলা। তার পরই ভাইরাল হয়েছে সেই পোস্ট। তা ভাইরাল হতেই ফোনের বন্যায় ভেসে যাচ্ছেন গীতা। পুণে ছাড়িয়ে ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কাজের জন্য ফোন আসছে গীতার কাছে। গীতাকে এ রকম সহৃদয় সাহায্যের জন্য ধনশ্রীকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছেন নেটিজেনরা।
আরও পড়ুন: এত লম্বা খাট নেই! লখনউতে খেলা দেখতে এসে হোটেল জুটল না আফগান দর্শকের
আরও পড়ুন: জেলবন্দি স্বামীকে দেখতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার মহিলা, অভিযুক্ত জেলরক্ষীরাই
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy