এস এস সর্বানন (মাইক্রোফোন হাতে)। —ফাইল চিত্র।
আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি থাকায় তাঁকে চার বছরের জন্য জেলে যেতে হচ্ছে। এবং ঘটনাচক্রে যে দিন তিনি আত্মসমর্পণ করলেন, সেই দিনই তাঁর বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ করলেন এআইএডিএমকে-র এক বিধায়ক। তামিলনাড়ু পুলিশ সেই অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা দায়ের করেছে।
গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে তামিলনাড়ুর অন্তরবর্তীকালীন মুখ্যমন্ত্রী ও পনীরসেলভম এবং তাঁর অনুগামীরা অভিযোগ জানাচ্ছিলেন, এআইএডিএমকে-র প্রায় শতাধিক বিধায়ককে মহাবলীপূরমে ‘গোল্ডেন বে’ নামে এক বিলাসবহুল রিসর্টে বন্দি করে রেখেছেন শশীকলা। এ বিষয়ে মাদ্রাজ হাইকোর্টে একটি মামলাও দায়ের করা হয়। পরে আদালতে পুলিশের তরফে জানানো হয়, ওই রিসর্টে তাঁরা স্বেচ্ছায় রয়েছেন। তবে, ওই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ শশিকলা, পালানিসামি-সহ এডিএএমকে-র বেশ কয়েক জন নেতার বিরুদ্ধে অপহরণ এবং হুমকির মামলা দায়ের করেছে।
আরও পড়ুন:
বিতাড়িত ভাইপোকে দলে ঢুকিয়ে, দায়িত্বে বসিয়ে জেলে চললেন শশিকলা
কিন্তু, বুধবার মাদুরাইয়ের বিধায়ক এস এস সর্বানন পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন। সেখানে তিনি জানান, তাঁকে জোর করে শশিকলা এবং তাঁর অনুগামীরা আটকে রেখেছিলেন। মঙ্গলবার সকালে তিনি টি-শার্ট এবং বারমুডা পরে জলেপ পাইপ বেয়ে নেমে পালিয়ে যান ওই রিসর্ট থেকে।
এই অভিযোগ পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী ওই রিসর্টে পৌঁছয়। তাঁরা ফের ওই বিধায়কদের এক এক করে জিজ্ঞাসা করেন। তাঁরা তখন রিসর্ট ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু, সর্বাননের অভিযোগ মিথ্যে বলে উড়িয়ে দেন তাঁরা। রিসর্টের যে ঘরে সর্বানন গত ১০ দিন ধরে ছিলেন সেটাও এক বিধায়ক দেখান পুলিশ কর্মীদের।
আরও পড়ুন: তামিলনাড়ুকে কি পরিহাস করছে গণতন্ত্র?
রাজনৈতিক মহলের ধারণা, ক্ষমতার কাছাকাছি থাকতে সর্বানন প্রথমে শশিকলা শিবিরে গিয়েছিলেন। কিন্তু, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে শশী মুখ্যমন্ত্রী নাও হতে পারেন এই সম্ভাবনা থেকেই তিনি শেষ মুহূর্তে পনীরসেলভমের শিবিরে যোগ দিতে ওই রিসর্ট ছেড়ে বেরিয়ে যান। তবে সর্বানন জানিয়েছেন, তিনি যখন ‘পালিয়ে’ আসেন তখনও সুপ্রিম কোর্টের রায় বেরোয়নি। কাজেই এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy