Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

লালুর সঙ্গে ফের টক্করে নামলেন রঘুবংশ

ভোটের মুখে আরজেডিতে ফের লালু-রঘুবংশ দ্বন্দ্ব। হায়দরাবাদের মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলমান (এমআইএম) নেতা আসাদুদ্দিন ওয়েইসিকে জোটে সামিল করার দাবি তুলে আরজেডি নেতা রঘুবংশপ্রসাদ দলের মধ্যের বিবাদকে ভোটের মুখে আরও উস্কে দিলেন।

দিবাকর রায়
পটনা শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০৪:০৭
Share: Save:

ভোটের মুখে আরজেডিতে ফের লালু-রঘুবংশ দ্বন্দ্ব।

হায়দরাবাদের মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলমান (এমআইএম) নেতা আসাদুদ্দিন ওয়েইসিকে জোটে সামিল করার দাবি তুলে আরজেডি নেতা রঘুবংশপ্রসাদ দলের মধ্যের বিবাদকে ভোটের মুখে আরও উস্কে দিলেন। আজ একটি অনুষ্ঠানে রঘুবংশপ্রসাদ বলেন, ‘‘আসাদুদ্দিন ওয়েইসিকে আমরা মহাজোটে আনার চেষ্টা করব।’’ রঘুবংশের সেই বক্তব্য অবিলম্বে খারিজ করে দিয়েছেন খোদ লালুপ্রসাদ। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, ‘‘কোনও ভাবেই কট্টরপন্থী বিচারধারার কাউকে আমাদের ধর্মনিরপেক্ষ এবং প্রগতিশীল জোটে সামিল করা হবে না।’’ লালুর বক্তব্য জানার পর রঘুবংশ চুপ করে যাননি। সাংবাদিকদের ডেকে পাল্টা তিনি বলেন, ‘‘লালুপ্রসাদ আমার থেকে বেশি বোঝেন। কিন্তু কাজ করতে দেরি করে ফেলেন।’’

অনেকেই বলছেন, এমনিতেই রঘুনাথ ঝা দল ছেড়ে যাওয়ায় কিছুটা হলেও চাপ তৈরি হয়েছে আরজেডি-র ভিতরে। তার উপরে গত কয়েক দিন ধরে দলের আরারিয়ার সাংসদ তসলিমুদ্দিন লাগাতার মহাজোটের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে চলেছেন। লালুর দূতের সঙ্গে পর্যন্ত তিনি দেখা করতে চাননি। এমনিতেই নীতীশের সঙ্গে সমঝোতার ব্যাপারে প্রথম থেকে আপত্তি ছিল রঘুবংশের। এখন ফের এমআইএম-কে নিয়ে রঘুবংশের সঙ্গে লালুপ্রসাদের মতভেদ দানা বেঁধেছে।

সীমাঞ্চল এমনিতেই আরজেডি-কংগ্রেস-জেডিইউ জোটের কাছে দূর্গ হিসেবে পরিচিত। এবিপি নিউজ-নিয়েলসনের জনমত সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল, পূর্ব বিহারের ৪২টি আসনের মধ্যে ৩৩টি আসনেই এগিয়ে রয়েছে মহাজোট। এই পরিস্থিতিতে আসাদুদ্দিন ওয়েইসির দল মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলমান (মিম) সীমাঞ্চলের চারটি জেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেখানে ২৪টি আসন রয়েছে। আসনগুলির বেশির ভাগই মহাজোটের পক্ষে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনুমান। মিমের সিদ্ধান্তের জেরে কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে মহাজোট। সে কারণেই তাঁকে সঙ্গে নেওয়ার কথা বলেছিলেন রঘুবংশপ্রসাদ। তবে তাঁর সেই আশায় লালুপ্রসাদ জল ঢেলে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ রঘুবংশ।

ইতিমধ্যেই মহাজোট থেকে বেরিয়ে গিয়ে এনসিপি এবং সমাজবাদী পার্টি নতুন জোট তৈরি করেছে। রাজ্যের সমস্ত ছোট দলকে সেই জোটে সামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন কাটিহারের সাংসদ তথা এনসিপি নেতা তারিক আনোয়ার। আরজেডির সহ-সভাপতি রঘুনাথ ঝা সমাজবাদী পার্টিতে সামিল হয়েছেন। জেডিইউ থেকেও কয়েকজন নেতা সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দিয়েছেন। এক সময়ে লালুর ঘনিষ্ঠ, সীমাঞ্চলের নেতা দেবেন্দ্র যাদব জিতনরাম মাঁঝির নতুন দল হিন্দুস্থান আওয়াম মোর্চায় নাম লিখিয়েছিলেন। কিন্তু আজই তিনি জিতনরামের কাছে পদত্যাগ পত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন। তিনিও সমাজবাদী পার্টিতে নাম লেখাতে পারেন বলে খবর। পর্যবেক্ষকদের ধারণা, এর উপর ভোটের আগে রঘুবংশবাবু যদি আরজেডি ছাড়েন, তবে রীতিমতো বিপাকে পড়বেন লালুপ্রসাদ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE