ভারতে নিযুক্ত আমেরিকার রাষ্ট্রদূত সার্জিয়ো গোরের সঙ্গে সাউথ ব্লকের নেতৃত্বের ইতিবাচক বৈঠক হয়েছে। আর তারপরই বাণিজ্যসচিবের নেতৃত্বে মন্ত্রকের প্রতিনিধি দল রওনা হবেন ওয়াশিংটনে। ভারত-আমেরিকা বাণিজ্যচুক্তি যখন অনেক বাধাবিপত্তি কাটিয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছনোর মুখে বলে মনে করা হচ্ছে, তখন আরও একটি সহায়ক বার্তা এল সে দেশের অর্থসচিব স্কট বেসেন্ট-এর কাছ থেকে। চিনের প্যাঁচে পড়ে যিনি কিছুটা বাধ্য হলেন ভারতের দিকে হাত বাড়িয়ে দিতে। এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, “এটা চিন বনাম পুরো বিশ্বের লড়াই। দুর্লভ খনিজ সরবরাহের বণ্টনকে নিশানা করেছে চিন। আমরা এটা সহ্য করব না। চিনের বিরুদ্ধে লড়তে আমরা ভারত এবং ইউরোপীয় দেশগুলির কাছে সাহায্য আশা করছি।”
চিনের উপর ১০০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছে আমেরিকা। তার পরই বিরল খনিজ রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে বেজিং। এই পরিস্থিতিতে চরমে পৌঁছেছে কূটনৈতিক সংঘাত। আর এমন পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ভারতের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ বার্তা বেসেন্টের।
মূলত অত্যাধুনিক অস্ত্র তৈরির ক্ষেত্রে এই বিরল খনিজ ব্যবহার করা হয়। বিরল খনিজ চুম্বক আমেরিকার সামরিক সরঞ্জামেরও মূল উপাদান। এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান থেকে শুরু করে সাবমেরিন, প্রিডেটর ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র, উন্নত মানের রেডার সবেতেই জরুরি উপাদান বিরল খনিজের ঘাঁটি চিন। রফতানির বাজারের বড় অংশই তাই বেজিংয়ের নিয়ন্ত্রণে। স্বাভাবিক ভাবেই সরবরাহ প্রণালীতেও জিনপিংয়ের দেশেরই আধিপত্য। চিনের কাছে থাকা বিরল খনিজের পরিমাণ ৪ কোটি ৪০ লক্ষ মেট্রিক টন। তার পরেই ব্রাজিলের কাছে রয়েছে ২ কোটি ১০ লক্ষ মেট্রিক টন। ভারতের কাছে রয়েছে ৬৯ লক্ষ মেট্রিক টন। পাশাপাশি চিন বিশ্বের ৭০% বিরল খনিজ খনন এবং ৯০ শতাংশের বেশি প্রক্রিয়াকরণ নিয়ন্ত্রণ করে। যার কারণে বিপাকে পড়েছে আমেরিকা। তবে বেসেন্ট আত্মবিশ্বাসের স্বরে বলেছেন, ‘‘মিত্র দেশগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। এই সপ্তাহে তাদের সঙ্গে দেখাও করব। আশা করি, ইউরোপের পাশাপাশি ভারত ও এশিয়ার গণতান্ত্রিক দেশগুলির কাছ থেকে সহযোগিতা পাব।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)