জল সরবরাহের জন্য ট্রেনের ওয়াগনের সঙ্গে পাইপ জুড়ছেন রেলকর্মীরা। শুক্রবার চেন্নাইয়ে। পিটিআই
তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই জলসঙ্কটের তীব্রতা বেড়েছে চেন্নাইতে। সঙ্কট মোকাবিলায় এ বার ভেলোর জেলার জোলারপেট্টাই স্টেশন থেকে ট্রেনে জল সরবরাহ করা হল চেন্নাইতে। আজ সকালেই ২৫ লক্ষ লিটার জল নিয়ে দুপুর দুটো নাগাদ একটি ট্রেন পৌঁছয় চেন্নাইয়ে। জলভর্তি ৫০ ওয়াগনের এই ট্রেনটি পৌঁছয় চেন্নাইয়ের বিলাবক্কম স্টেশনে। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রীরাও।
আরও একটি ট্রেনে জল পরিবহণের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। এ ভাবে দৈনিক এক কোটি লিটার জল সংগ্রহের পরিকল্পনা নিয়েছে চেন্নাই পুরসভা জল সরবরাহ ও নিকাশি কর্তৃপক্ষ। রেলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সুযোগ পেলে আরও বাড়ানো হবে ট্রেনের সংখ্যা।
এই প্রকল্পে জল সংগ্রহের জন্য তামিলনাড়ু সরকার ৬৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে। জলভর্তি ট্রেনের প্রতিটি সফরের জন্য চেন্নাই পুরসভার কাছে সাড়ে সাত লক্ষ টাকা নিচ্ছে রেল। আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, ভেলোর থেকে চেন্নাইয়ের বিলাবক্কমে ট্রেন পৌঁছতে (২২০ কিলোমিটার) সময় লাগছে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা।
জল সরবরাহের জন্য ৩.৫ কিলোমিটার লম্বা পাইপলাইনের মাধ্যমে জোলারপেট স্টেশনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের পাম্পিং হাউসকে যুক্ত করা হয়েছে। বুধবারই এই লাইনে পরীক্ষামূলক ভাবে জল সরবরাহ করা হয়েছে। চেন্নাইয়ে ট্রেন পৌঁছনোর পরে স্টেশন থেকে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে জল পৌঁছে দিতে রেল লাইনের পাশে বসানো হয়েছে শতাধিক পাইপ। ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট থেকে বাড়ি বাড়ি জল সরবারহ করছে চেন্নাই পুরসভা। এক আধিকারিক জানিয়েছেন, মাস ছয়েক বাদে উত্তর-পূর্ব মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টি হলে বন্ধ করা হবে এই ব্যবস্থা। তত দিন পর্যন্ত বহাল থাকবে এই ব্যবস্থাই। ওই আধিকারিকের বক্তব্য, এ বছর এখনও পর্যন্ত তেমন বৃষ্টি না হওয়ায় শহরের বাইরের চারটি জলাশয় জলশূন্য। তাতেই ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছে পরিস্থিতি। সঙ্কটের জন্য বাসিন্দাদের ৪০ শতাংশ জলের বরাদ্দ কমিয়েছে পুরসভা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy