দিল্লিতে পম্পেয়ো-মোদী। বুধবার। ছবি: পিটিআই।
জাপানের ওসাকায় জি-২০ গোষ্ঠীভুক্ত শীর্ষ বৈঠকের ফাঁকে পরশু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। আজ তার ক্ষেত্র প্রস্তুত হল নয়াদিল্লিতে। মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেয়োর সঙ্গে আজ কথা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। পরে বিস্তারিত বৈঠক হয়েছে বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের। মার্কিন চাপ সত্ত্বেও রাশিয়া থেকে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র কেনা এবং ইরান থেকে তেল আমদানি নিয়ে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা— কথা হয়েছে এই দু’টি বিষয় নিয়ে। আজকের বৈঠকে এই বিষয়গুলি নিয়ে ভারতের জন্য সুবিধাজনক মার্কিন শর্ত আদায় করা যাবে, এমন আশা সাউথ ব্লক করেনি। তেমনটা হয়নিও। তবে কূটনৈতিক সূত্রের খবর, ভারত দৃঢ় ভাবেই নিজের জাতীয় স্বার্থের দিকটি তুলে ধরেছে মার্কিন কর্তার কাছে। এই দু’টি বিষয় ছাড়াও আজ বিস্তারিত ভাবে আলোচনা হয়েছে দু’দেশের বাণিজ্য সম্পর্ক এবং সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা নিয়ে।
অর্থনৈতিক এবং কৌশলগত সম্পর্কের প্রশ্নে নিঃসন্দেহে মোদীর দ্বিতীয় দফায় সব চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের নাম এখন ট্রাম্প প্রশাসন। আজ সাংবাদিক বৈঠকে মস্কো থেকে ক্ষেপণাস্ত্র কেনার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। জয়শঙ্করের কথায়, ‘‘আমাদের সঙ্গে বহু দেশেরই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক রয়েছে। আমরা সেটাই করব যা আমাদের জাতীয় স্বার্থের উপযোগী হয়। জাতীয় স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই প্রত্যেক দেশ তাদের কৌশলগত অংশিদারী তৈরি করে।’’ পম্পেয়োর তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, ‘‘খুব ভাল দুই বন্ধুর মধ্যেও মতপার্থক্য থাকে!’’ ভারতের সামরিক নিরাপত্তা প্রসঙ্গে তাঁর আশ্বাস, ‘‘ভারতের ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষার জন্য পর্যাপ্ত সামরিক শক্তি যাতে প্রস্তুত থাকে, তা নিশ্চিত করতে আমেরিকা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’’
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ থেকেই স্পষ্ট যে রাশিয়া থেকে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র আমদানি নিয়ে ওয়াশিংটনের আপত্তি কাটাতে পারেনি ভারত। কিন্তু রাশিয়ার সঙ্গে যে তারা সামরিক সম্পর্ক রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং তা থেকে সরে আসা হবে না, সে কথাও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। ইরান থেকে তেল আমদানির প্রশ্নটিও এখনও ঝুলে রয়েছে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার পরে ভারতকে ঘুরপথে তৃতীয় দেশের মাধ্যমে তেল আমদানির পথে হাঁটতে হচ্ছে। তবে ইরান থেকে তেল আমদানি নিয়েও আজ কড়া কথা বলেন পম্পেয়ো। ইরানকে ‘সন্ত্রাসবাদের সব চেয়ে বড় পৃষ্ঠপোষক’ বলে মন্তব্য করেন তিনি। ভারতকে সন্ত্রাসবাদের সব চেয়ে বড় শিকার হিসেবে তুলে ধরে মার্কিন কর্তা বলেছেন, ভারতের সঙ্গে সব রকম সহযোগিতা করবে আমেরিকা।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy