Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

বন্যা-ধসে এখনও নাকাল উত্তর-পূর্ব

জোনালি এলাকায় বন্যার জলে ডুবে যাওয়া ডিব্রুগড়ের পিন্টু দাসের মৃতদেহ আজ উদ্ধার করেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। পাশাপাশি, আজ বিকেলে বড়বাড়ি এলাকায় বাঁশের সাঁকো ভেঙে বিলে পড়ে মারা যান দেবেন নাথ নামে এক ব্যক্তি।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ১৫ জুন ২০১৭ ০৪:০৬
Share: Save:

আবহাওয়ার উন্নতি হলেও গত কালের বৃষ্টি-ধসের ধাক্কা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি অসম, মিজোরাম।

গত কাল গুয়াহাটির জু রোডে জমা জলের মধ্যে তড়িদাহত হয়ে মৃত্যু হয় অষ্টম শ্রেণির ছাত্র পুসাং কলিতার। তাকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ যায় রিক্সাচালক আনোয়ার হুসেনের। জোনালি এলাকায় বন্যার জলে ডুবে যাওয়া ডিব্রুগড়ের পিন্টু দাসের মৃতদেহ আজ উদ্ধার করেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। পাশাপাশি, আজ বিকেলে বড়বাড়ি এলাকায় বাঁশের সাঁকো ভেঙে বিলে পড়ে মারা যান দেবেন নাথ নামে এক ব্যক্তি। আজ বিকেলে মারা যান। গত রাতে অনিল নগরে এতই জল জমে ছিল, অসুস্থ এক মহিলাকে রাতে বাড়ি থেকে বের করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায়নি। ওই মহিলা মারা যান। বৃষ্টিতে গুয়াহাটির বহু জায়গায় ধস নামে। হেঙেরাবাড়ি, বামুনিমৈদামে ধসে একাধিক বাড়ি ভেঙে পড়েছে। অন্য দিকে, মিজোরামে টানা বৃষ্টির ফলে আজ দক্ষিণ অসমের হাইলাকান্দি জেলার কাটাখাল নদীতে জল বেড়ে কয়েকটি গ্রাম ডুবেছে। বরপেটায় বেকি নদীর জল বেড়ে বেশ কয়েকটি গ্রাম জলমগ্ন। লখিমপুর, দরাং, কামরূপেও বন্যা পরিস্থিতি চলছে।

মণিপুরে বৃষ্টির ফলে কিছু এলাকায় হড়পা বান নেমেছে। ইম্ফলে নামবোল ও ইম্ফল নদী বিপদসীমা পার করায় ডুবেছে বিস্তীর্ণ এলাকা। মিজোরামের লুংলেই জেলার ফাইরুয়াং গ্রামে তিন তলা একটি বাড়ি ভেঙে গত রাতে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় ধসে আরও কয়েকটি দেহ চাপা পড়ে থাকার আশঙ্কা করছে প্রশাসন। গত সন্ধ্যায় ভাইভাকাওন এলাকায় ধস নেমে বিমানবন্দর যাওয়ার পথ, ৫৪ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়ে গিয়েছে। মিজোরাম সরকার জানিয়েছে, ৪৪টি স্থান থেকে ধস, বন্যা, রাস্তা ভাঙার খবর এসেছে। প্রায় দেড়শোটি বাড়ি ভেঙেছে। রাজ্যের বিভিন্ন নদীর জলে প্লাবিত বিস্তীর্ণ অঞ্চল। প্রায় পাঁচশোটি গ্রাম জলের কবলে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE