ফাইল চিত্র।
গত জুনে আফগানিস্তানের পাকটিকা প্রদেশে ভূমিকম্পে মৃত্যু হয়েছে হাজারেরও বেশি মানুষের। বিভিন্ন রকম প্রাকৃতিক বিপর্যয় নিয়ে বহু দিন ধরে কাজ করে চলেছেন টোকিয়োর কেয়ো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রাজীব শ। প্রেস ক্লাবের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সম্প্রতি কলকাতায় এসেছিলেন রাজীববাবু।
আফগানিস্তানের ভূমিকম্প প্রসঙ্গেই জাপানের সবচেয়ে বড় ভূমিকম্পের কথা তুললেন রাজীব। দিনটা ছিল ১ সেপ্টেম্বর, ১৯২৩। টোকিয়ো, ইয়োকোহামা-সহ কান্টো অঞ্চলে ঘটেছিল জাপানের সব চেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প, ইতিহাসে যা ‘গ্রেট কান্টো আর্থকোয়েক’ বা ‘গ্রেট টোকিয়ো আর্থকোয়েক’ নামে পরিচিত। সে বার ভূমিকম্প ও আগুনে প্রাণ হারান এক লক্ষেরও বেশি মানুষ। সেই ভয়াল প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের শতবর্ষের দোরগোড়ায় এখন দাঁড়িয়ে জাপান। সেই মহাবিপর্যয়কে মনে রেখে ১ সেপ্টেম্বর দিনটিকে প্রতি বছর ‘বিপর্যয় প্রতিরোধ দিবস’ হিসেবে পালন করা হয় জাপানে। সেই ভূমিকম্পে মৃতদের স্মরণ করার পাশাপাশি ভূমিকম্প হলে কী করতে হবে, তার মহড়া, প্রচার চলে দেশ জুড়ে। হয় নানা ধরনের অনুষ্ঠান।
রাজীব বললেন, ‘‘সেই সময় টোকিয়োর বেশির ভাগ বাড়ি ছিল কাঠের। ভূমিকম্পের ফলে লাগা আগুন তাই খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল। আগুন থেকে বাঁচতে অনেকেই লাফ দিয়েছিলেন টোকিয়োর মধ্য দিয়ে বয়ে চলা সুমিদা নদীতে। কিন্তু আগুনের জন্য নদীর জল গরম হয়ে যাওয়ায় প্রাণ হারাতে হয় তাঁদেরও।’’
ইদানীং প্রায়ই ভারতে বজ্রপাতের ফলে মৃত্যুর খবর শোনা যাচ্ছে। এত ঘন ঘন বজ্রপাতের কারণ কী?
রাজীববাবু বলেন, ‘‘বেশ কয়েক বছর ধরেই বজ্রপাতের চরিত্র বদলেছে। আগে মূলত কালবৈশাখীর সময়েই বাজ পড়ত। এখন তো বছরের যে কোনও সময়েই বাজ পড়ছে। ফলে প্রাণহানির খবরও পাওয়া যাচ্ছে।’’ রাজীববাবু জানান, এর পিছনে বিভিন্ন কারণ আছে। তার মধ্যে একটি হল বায়ুদূষণ। ফলে বায়ুদূষণের ব্যাপারে মানুষকে আরও অনেক বেশি সচেতন হতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy