যত দিন যাচ্ছে, ততই যেন আরও উদ্বেগজনক হচ্ছে উত্তরভারতের বাতাসের গুণমান। শনিবারও রাজধানী দিল্লি এবং সংলগ্ন এলাকাগুলির বাতাসের গুণমান রইল ‘খারাপ’ থেকে ‘অত্যন্ত খারাপ’-এর ঘরে। দূষণ নিয়ে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (সিপিসিবি)-র তরফে দেওয়া পরিসংখ্যান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রাক্তন প্রধান সৌম্যা স্বামীনাথনও।‘ন্যাশনাল ক্লিন এয়ার মিশন’-এর ডাক দিয়ে তাঁর আর্জি, দেশে দূষণের মাত্রা কমিয়ে আনা সকলেরই লক্ষ্যহওয়া উচিত।
সৌম্যা স্বামীনাথন একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, দূষণের জেরে ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মানুষের স্বাস্থ্য। প্রভাব পড়ছে ফুসফুস, হৃদয় এবং মস্তিষ্কের উপরেও। ফলে বাড়ছে হৃদরোগ, স্ট্রোক, ডিমেনশিয়া, ক্যানসারের মতো রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর আশঙ্কা।শিশুদের উপরেও মারাত্মক ভাবে প্রভাব পড়ছে বলে জানিয়েছেন সৌম্যা। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি আরও বলেছেন, যত দিন যাচ্ছে, দেশে, বিশেষত উত্তর ভারতে ততই বাড়ছে দূষণের মাত্রা। আর এর জন্য যে শুধু গাড়ির ধোঁয়া দায়ী, তা কিন্তু নয়। তাঁর মতে, অনেকেই বাড়িতে কাঠের চুল্লিতে রান্না করেন। তার ধোঁয়া থেকেও সমস্যা হতে পারে অনেকের। বাড়ে দূষণের মাত্রাও।
এই প্রসঙ্গে প্রাক্তন হু-কর্তা বলছেন, দূষণের মাত্রা যখন বাড়বে, তখন যদি বাইরে যাওয়া কমানো যায়, বিশেষত শিশুদের ক্ষেত্রে, তা হলে আগামী দিনে স্বাস্থ্যও ভাল রাখা যায়। এ ছাড়াও, নিয়মিত মাস্ক পড়ার পরামর্শও দিচ্ছেন সৌম্যা।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)